ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে সাড়ে ৬ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা ব্যাংকের সাবেক দুই কর্মকর্তাকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড ও ১ কোটি টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সাথে মামলার আসামি বরিশালের অপর ৩ বিশিস্ট ব্যবসায়ীকে বেকসুর খালাশ দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন আইনে দায়ের করা মামলায় বরিশালের বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহসিনুল হক বৃহস্পতিবার এই রায় দেন।
দন্ডিত দুই সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা ঢাকা ব্যাংকের বরিশাল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক কেএইচএন আসাদুজ্জামান ও সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবীর রায় ঘোষনার সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলো।
খালাস পাওয়া তিন ব্যবসায়ী হলেন ঢাকা-বরিশাল রুটের এমভি কীর্তনখোলা লঞ্চের মালিক মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস, সিটি করপোশেনের টানা ৪ বারের সাবেক কাউন্সিলর জাকির হোসেন জেলাল এবং ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন তালুকদার।
আদালত সূত্র জানায়, ভুয়া ওয়ার্কঅর্ডার, জাল গ্যারান্টিপত্র, জাল এ্যাসেসমেন্ট ব্যবহার করে ঢাকা ব্যাংকের বরিশাল শাখা থেকে ৬ কোটি ৪৫ লাখ ৫৫ হাজার ৭২৬৫ টাকা ঋণ উত্তোলন করা হয়। দন্ডিত দুই ব্যাংক কর্মকর্তা ২০১০ সালের ১৬ মে থেকে ২০১৩ সালের ৮ জুলাই ঢাকা ব্যাংকের বরিশাল শাখায় দায়িত্বপালনকালে এই জালিয়াতির ঘটনা ঘটে।
পরে আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়লে ব্যাংকের তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল মালেক হাওলাদার বাদী হয়ে ২০১৩ সালের ৬ আগষ্ট একটি মামলা দায়ের করেন। বরিশাল দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক এবিএম আব্দুস সবুর মামলাটি তদন্ত করেন। দুই ব্যাংক কর্মকর্তা ও তিন ঠিকদার যোগাসাজস করে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাত করেছে বলে ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দেয় দুদক।