মোদির শপথে যাচ্ছেন না মমতা, ‘রাজনৈতিক ফায়দা’র অভিযোগ

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লিখেছেন, ‘অভিনন্দন, নতুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সাংবিধানিক সৌজন্যের জন্যে আপনার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা থাকলেও আমি যেতে পারছি না। কারণ সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পারছি- বিজেপি দাবি করছে, পশ্চিমবঙ্গে ৫৪ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। যা সম্পূর্ণ অসত্য। পশ্চিমবঙ্গে কোনও রাজনৈতিক হত্যার ঘটনা ঘটেনি। সেই হত্যার পেছনে পারিবারিক সমস্যা, শত্রুতা বা অন্যান্য কারণ থাকতে থাকতে পারে। কিন্তু তা রাজনৈতিক হত্যা নয়।’

যাওয়ার কথা বলেছিলেন মঙ্গলবারই। কিন্তু আজ বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না তিনি। টুইটারে সেকথা বিস্তারে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন মমতা, তাই আসবেন না শপথে। বাংলায় গত এক বছরে ১০০ জনের বেশি বিজেপি কর্মী তৃণমূলের সন্ত্রাসে মারা গিয়েছে। ওঁকে এই সত্যটা বাংলার মানুষের কাছে স্বীকার করতেই হবে। তা না হলে তিনি পার পাবেন না।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও লিখেছেন, ‘আমি দুঃখিত, এই বিষয়টিই আমাকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়া থেকে বিরত করতে বাধ্য করল।’ শেষে তাঁর সংযোজন, ‘এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান আসলে গণতন্ত্রের উদযাপন। কিন্তু সেটাকেই রাজনৈতিক ফায়দা তোলার মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’

বিজেপির বিশেষ আমন্ত্রণে ‘বিশেষ অতিথি’ হিসেবে রাজধানী যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গে নিহত ৫০ জন বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যরাও। এই খুনের অভিযোগ অবশ্য রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধেই। পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল এঁদের। বেশিরভাগই ছিলেন ব্যারাকপুর, কৃষ্ণনগর, নদিয়া, পুরুলিয়া, মালদা, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, রানাঘাট, বীরভূম এবং কোচবিহারের। শুধুমাত্র যাওয়াই নয়, নয়াদিল্লিতে থাকা এবং অন্য সমস্ত কিছুর দায়িত্বও নিয়েছে বিজেপি।

আর এরপরই নিজের সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দেন, বৃহস্পতিবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *