ঢাকা: মহাদুর্যোগে বাংলাদেশে আল্লাহর অপার রহমতে বারবার ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে জাতিকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন যে ক্ষণজন্মা মহান নেতা, তাঁর আরো একটি শাহাদাত দিবসের আগমনী বার্তা বহন করে জাতির সামনে শোক ও অনুপ্রেরণা নিয়ে আসছে ৩০মে। দেশ-জাতির কোটি হৃদয়ের মণিকোঠায় আজও অম্লান তাঁর দেশপ্রেমের নিখাঁদ আদর্শ।দুখিনী বাংলার চারণভূমিতে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আভা বিকিরণে বারবার উদ্ভাসিত হয়েছে সেই দুর্দিনের কান্ডারীর কর্মমুখর জীবন আলেখ্য। তিনি “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান”।
শতধা বিভক্তির বক্রজালে আর নিজেদেরকে আবদ্ধ না করে তাঁর অনুসারীগণ অগ্রসর হবে আগামী দিনের রক্তিম দিগন্তরেখায়। হিংসা,বিদ্বেষ আর নয়। নয়-নিজ দলের পরস্পরকে আত্মঘাতী দোষারোপ।
শহীদ জিয়ার ভূবন বিজয়ী আদর্শ হল– তাঁর সততা,তাঁর দেশপ্রেম এবং ত্যাগের মাধ্যমে নিজেকে উৎসর্গ করা–। এজন্যেই তিনি দেশমাতৃকার ডাকে জীবনবাজী রেখে নিয়েছেন বিভিন্ন কালোত্তীর্ণ সিদ্ধান্ত। কখনো দেশের স্বাধীনতা অর্জনে আবার কখনো স্বাধীনতা রক্ষায়। একমাত্র এই ক্ষণজন্মা মহাপুরুষের আদর্শই হতে পারে তাঁর উত্তরসূরীদের তথা আমাদের জাতীয়তাবাদী শক্তির আরাধ্য পাথেয়! কারন, বিপদ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ এবং ধৈর্যশীল করে।
দলীয় আনুগত্য এখন সবকিছুর উর্ধে। সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য মেধাবী, দক্ষ, অভিজ্ঞ, ত্যাগী, সৎ নেতৃত্ব এবং সর্বোপরি ক্লিন ইমেজকে প্রাধান্য দিতেই হবে।এজন্যেই তৃণমূলের মাঝে একটি নির্ভেজাল ছাঁকুনি দেয়া প্রয়োজন।
তাহলেই একে একে প্রয়াতঃ ঋষিতুল্য সৎ মানুষগুলোর শূন্যস্থান পূরণ হবার সম্ভাবনা থাকবে। লেঃ মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক শামসুল হক চৌধুরী, খন্দকার দেলোয়ার, ব্যারিস্টার সালাম তালুকদার সহ তৃণমূলেও আজ অনেকে নেই!! ক্ষমতার বা নেতৃত্বের উত্তরসূরী হওয়া, আর মেধা নৈতিকতা, সততার উত্তরসূরী হওয়া–কখনোই এক কথা নয়।
আধুনিক বাংলাদেশেরর রূপকার “শহীদ জিয়ার শাহাদাতের দিনে” আজ জমানা বদলের কারনে এই বিষয়গুলো বিবেচনা করা এখন সময়ের দাবী। নেতা আসে, নেতা যায়, সবাই কি আদর্শ রেখে যায়?? আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে তৃণমূল সহ সারা জাতি অপেক্ষায় আছে। ইনশাল্লাহ, শুভ হবে “আগামীর বার্তা”। শোক পরিনত হবে শক্তিতে……।।।
লেখক
সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, বিএনপি।