ঢাকা:ক্ষমতাসীনরা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ নয়াপল্টন দলের
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরে রিজভী বলেন তথ্যমন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীনরা বেগম জিয়ার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন, তামাশা করছেন। তথ্যমন্ত্রীর এসব বক্তব্য একটি বেপরোয়া, বেআইনী, মধ্যযুগীয়, জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলো বাতাসহীন কান্ডজ্ঞানহীন হবুচন্দ্র রাজার গবুচন্দ্র মন্ত্রীর মতো। সাবেক ৪ বারের একজন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি নিষ্ঠুরভাবে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা।
মিডনাইট ভোটের সরকারের গবুচন্দ্র মন্ত্রীদের কাছ থেকে এরকম বক্তব্য আসবে এটাই স্বাভাবিক। তথ্যমন্ত্রীসহ মন্ত্রীদের বক্তব্যে মনে হচ্ছে প্রচ্ছন্নভাবে তারা বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বিনা চিকিৎসায় হত্যার উদ্দেশ্যে নতুন ষড়যন্ত্র করছেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, বিএসএমইউ-তে তো চিকিৎসার পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতিই নেই। সেখানে সর্বোচ্চ চিকিৎসা হলে আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রীদের চিকিৎসা দিতে কেন সিঙ্গাপুর নেয়া হয়? তারা কারাবন্দি থাকাবস্থায় স্কয়ার ও ল্যাব এইডে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল কেন? আমি তথ্যমন্ত্রীকে বলবো, আপনি রোজা-রমজানের দিনেও স্বভাবগত মিথ্যাচার পরিত্যাগ করতে পারেননি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সর্বোচ্চ কেন, ন্যুনতম চিকিৎসা সেবাটুকুও পাচ্ছেন না। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েই দেশনেত্রীকে আজীবন জেলে রাখার কথা বলেছেন তাই বেগম জিয়া তাদের কাছ থেকে সুচিকিৎসা কখনোই পাবেন না।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএসএমইউ হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়ার নামমাত্র চিকিৎসা হচ্ছে। সেখানে ভর্তির পর এখনও তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসেনি, তিনি বিছানা থেকে উঠতে পারছেন না, কিছু খেতে পারছেন না, হাত পা নাড়াতে পারছেন না। তাকে কারাগারে নেয়ার পর তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না। সরকারের প্রধানের প্রতিহিংসার আগুনে কারাবন্দি থাকার কারণেই তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। শেখ হাসিনার প্রতিহিংসা তুষের আগুনের মতো সবসময় ধিকিধিকি করে জ্বলছে। বিএনপিসহ জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নির্মূলের নীতি যতক্ষণ সার্থক না হচ্ছে ততক্ষণ তার এই আগুন নিভবে না।
এ সময় তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে আবারও আহবান জানাচ্ছি ঈদের আগেই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, জামিনে বাধা প্রদান করবেন না। তাকে তার পছন্দ অনুযায়ী বিশষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ দিতে হবে।