ডেস্ক: যশোরের শার্শা উপজেলায় দুই সন্তান ও তাদের মায়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে নির্যাতনের পর রোববার রাতে ওই মা তার দুই সন্তানকে বিষ খাইয়ে নিজেও আত্মহত্যা করেন। এর আগে দিনভর কলহ হয় ওই পরিবারে। উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের দীঘা চালিতাবাড়িয়া গ্রামে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে গৃহবধূ ও তার দুই শিশু সন্তানের লাশ উদ্ধারের পর রোববার রাতেই গৃহবধূর শ্বশুর ও শাশুড়িসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (তদন্ত) সুখদেব রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের দীঘা চালিতাবাড়িয়া গ্রামের ইব্রাহীমের স্ত্রী হামিদা খাতুন (৩৫), মেয়ে শারিফা খাতুন (১২) ও ছেলে সোহান সেন (৫)।
কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুর মোহাম্মদ বলেন, ইব্রাহীম ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের কাছে চায়ের দোকান দিয়ে সংসার চালাতেন। দোকানের পাশেই ঘর তুলে সপরিবারে বসবাস করতেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, রোববার ইব্রাহীম ও হামিদা পারিবারিক কলহে জড়িয়ে দিনভর গণ্ডগোল করে। একপর্যায়ে শ্বাশুড়ি মরিয়ম বেগম ওরফে জামিলা হামিদাকে মারধর করলে রাগে-ক্ষোভে দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি ‘বিষ ট্যাবলেট’ খেয়ে আতœহত্যা করেন।
পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক সুখদেব বলেন, রাতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক কলহকে আতœহত্যার কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইব্রাহীমের বাবা আরাফাত হোসেন (৬০), মা মরিয়ম বেগম (৪৫) ও প্রতিবেশী ছিদ্দিক হোসেনকে আটক করা হয়েছে।