শেরপুর: তরুণ সাংবাদিক ইহসান ইবনে রেজা ফাগুন (২১) হত্যার ঘটনায় তার পিতা শেরপুরের সিনিয়র সাংবাদিক কাকন রেজা বাদী হয়ে জামালপুরের রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। গত শনিবার রাতে দায়ের করা ওই মামলায় আসামির কলামে রাখা হয়েছে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের। ঘটনার পরদিন জিআরপি পুলিশের দায়ের করা অপমৃত্যুর মামলা এবং সর্বশেষ হত্যা মামলা দায়েরের পরও উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়নি ফাগুন হত্যা রহস্য। সেই সঙ্গে ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়নি কোনো দুর্বৃত্ত। অন্যদিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ফাগুনের লাশের ময়নাতদন্তের ৫ দিন পরও জানা যায়নি ফলাফল। এ ব্যাপারে জামালপুর রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাপস চন্দ্র পণ্ডিত জানান, ফাগুনের লাশ উদ্ধারের পর রেলওয়ে পুলিশের দায়ের করা অপমৃত্যুর মামলার বিষয়ে এমনিতেই তদন্ত চলছিল।
তারপরও শনিবার রাতে ফাগুনের বাবার দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে একটি নিয়মিত হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। মামলাটি এসআই রকিবুল হক তদন্ত করলেও তিনিসহ ঊর্ধ্বতনরাও তদারকি করছেন। তিনি আশা করছেন, খুব দ্রুতই ওই ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হতে পারে। এদিকে ফাগুন হত্যার প্রতিবাদে শেরপুর প্রেস ক্লাব ঘোষিত ৫ দিনব্যাপী কর্মসূচির আওতায় রোববার সকালে ঝিনাইগাতী সদরে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা। ঝিনাইগাতী প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবুল হাশেম, শেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি জিএম বাবুল, ক্রীড়া সম্পাদক মহিউদ্দিন সোহেল, ঝিনাইগাতী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী টিটু, শেরপুর সদর উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি সোলায়মান আহমেদ, উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক একেএম ছামেদুল হক, উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সাধারণ সস্পাদক হারুন-অর-রশিদ, দিনমনি খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন। মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক জাহিদুল হক মনির।