রাজশাহীর তানোরে ছেলের লাঠির আঘাতে মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার বিকালে উপজেলার মুণ্ডুমালা পৌর এলাকার গৌরাঙ্গপুর গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত একরামুল হক (২৮) পলাতক আছে। তবে অন্য দুই ছেলে আব্দুল হক (৩০) ও আমিরুল ইসলামকে (২০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
নিহত নারীর নাম রহিমা বেগম (৭০)। তিনি গৌরাঙ্গপুর গ্রামের সামজাত হাজীর স্ত্রী।
মুণ্ডমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, রবিবার সকালে রহিমা বেগম বড় ও মেজো দুই ছেলেকে টাকা না দিয়ে তার ছোট ছেলে আমিরুল ইসলামকে দুই হাজার টাকা দেন ঈদের কেনাকাটা করতে।
আমিরুল মায়ের দেওয়া টাকা পেয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে চলে আসেন মুণ্ডমালা বাজারে।
এদিকে ছোট ছেলেকে টাকা দেওয়ার কথা শুনে বড় ছেলে আব্দুল হক ও মেজো ছেলে একরামুল তাদের মায়ের কাছে তিন হাজার করে টাকা দাবি করেন। তার মা দুই ছেলেকে এক হাজার করে টাকা দিতে চান। কিন্ত দুই ছেলের তাতে মন ভরেনি। এ দ্বন্দ্বে মায়ের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি শুরুর করে দুই ছেলে। এক পর্যায়ে মেজো ছেলে একরামুল বাড়িতে থাকা একটি মোটা লাঠি দিয়ে তার মায়ের ঘাড়ে আঘাত করলে সেখানেই ঢলে পড়েন রহিমা বেগম। পরে প্রতিবেশীরা রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
তানোর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম আরও জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যু হওয়াই প্রতিবেশীরা রহিমার লাশ বাড়িতে ফেরত এনেছে। পুলিশ লাশের সুরতহাল তৈরি করে রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে লাঠি দিয়ে আঘাতকারী একরামুল হক পলাতক আছে।