মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক (সুমন) উত্তরা প্রতিনিধি: রাজধানীর তুরাগে বেওয়ারিশ কুকুরের অত্যাচার অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। কুকুরের অত্যাচারে আতঙ্কে আছে এলাকার শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ। এসব বেওয়ারিশ পাগলা কুকুর নিধনের বা ইনজেকশন দেওয়ার মতো কোন কাজ বেশ কিছু দিন থেকে দেখা যাচ্ছে না। আর এ সুযোগে তুরাগে বেওয়ারিশ বা পাগলা কুকুরের সংখ্যা অনেক বেড়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। গত কয়েকদিনে কুকুরের কামড়ে অনেকের ভ্যাকসিন নিতে হয়েছে। এসব কুকুর নিয়ে বাচ্চাদের ভিতর আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
তুরাগের গুলগুলার মোড়, কামাড় পাড়া শাপলার মোড়, ধউর স্কুল মোড়, রমজান মার্কেট, চেয়ারম্যানবাড়ীর মোড়, রানাভোলা বটতলা, সিরাজ মার্কেট, রানাভোলা সবুজছাতার মোড়, যাত্রাবাড়ী, দলিপাড়া, বাউনিয়াসহ অনেক এলাকাতেই কুকুরের অত্যাচারের কথা শোনা যায়। এসব এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই পথচারীদরে কামড়ে দিচ্ছে। তাছাড়া রাতের বেলায় এদের অত্যাচার ও হাক ডাকে আবাসিক এলাকার মানুষের ঘুমের ব্যঘাত ঘটে। তুরাগের ওয়ার্ডগুলোতে নির্দিষ্ট স্থানে ডাস্টবিন না থাকায় রাস্তার ওপরে ময়লা-আবর্জনা জমে থাকে। সেখানে দল বেঁধে আসছে বেওয়ারিশ কুকুর। কয়েক দিন আগেও ধউর এলাকার কয়েকজন ছাত্রীকে স্কুল থেকে ফেরার সময় মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি বেওয়ারিশ কুকুর ধাওয়া করে। অল্পের জন্য সেদিন কুকুরের কামড় থেকে তারা বেঁচে যায়। এসব বেওয়ারিশ ও পাগলা কুকুরের কামড়ে মানুষজন জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ৫২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ প্রতিবেদককে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকায় কুকুর নিধন করা যাচ্ছে না, তবে বংশ বৃদ্ধি ও জলাতঙ্ক রোগ যাতে না হয় সেজন্য কুকুর ধরে ধরে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। সেই সাথে ভ্যাকসিন দেওয়া কুকুরগুলোর গায়ে রং লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সনাক্ত করার সুবিধার্থে। গত সপ্তাহে সিটি করপোরেশন অফিসে মেয়রসহ একটি মিটিং হয়, সেখানে সবাইকে কুকুরের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে।