ঢাকা থেকে অপহৃত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ গাজীপুরের গাছায় সেপটিক ট্যাংকে

Slider টপ নিউজ শিক্ষা


ডেস্ক: রাজধানীর শ্যামলী থেকে অপহরণের ১২দিন পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইসমাইল হোসেন জিসানের (২৪) লাশ গাজীপুরে সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ সকালে গাজীপুরের গাছা ইউনিয়নের কামারজুরি এলাকার মধ্যপাড়ার একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

জিসান রাজধানীর ইউরোপিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি পড়ালেখার পাশাপাশি রাইড শেয়ারিং পাঠাও চালাতেন। পরিবারের আর্থিক সঙ্কটের কারণে তিনি পাঠাও চালিয়ে পড়ালেখার খরচ চালাতেন।

শ্যামলীর রোড নং-০২ এর ১৬/ডি বাসায় বন্ধুর সঙ্গে থাকতেন জিসান। তিনি গাজীপুর জেলার গাছা থানার কাথোরা গ্রামের সাব্বির হোসেন শহীদের ছেলে। তার মা ভাতের হোটেলের দোকান দিয়ে সংসার চালান।

এদিকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হাসিবুল ইসলাম নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তিনি কামারজুরি বাজার এলাকায় খাবার হোটেলের ব্যবসা করেন এবং ওই এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের বাসায় ভাড়া থাকেন।

গাছা থানার এসআই ফোরকান জানান, গত ১২ই মে রাজধানীর শ্যামলী থেকে মোটরসাইকেলে গাজীপুরের কাথোরায় নিজ বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন ইউরোপিয়ান অব বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ছাত্র ইসমাইল হোসেন জিসান।

এ ঘটনায় পরদিন গাছা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা সাব্বির হোসেন শহীদ। এর চারদিন পর ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় আরেকটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

ঢাকার শেরেবাংলা থানার এসআই তোফাজ্জল হোসেন জানান, থানার জিডির সূত্র ধরে তদন্তকালে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গোপন সূত্রে জানা যায় এ ঘটনার সন্দেহভাজন আসামি হাসিবুল ইসলাম গাছা থানা এলাকায় অবস্থান করছেন।

পরে গাছা থানার সহযোগিতা নিয়ে কাথোরা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে হাসিবুলকে আটক এবং তার হোটেল থেকে নিখোঁজ জিসানের মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরে আটক হাসিবুলের স্বীকারোক্তি মতে, ওই বাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে জিসানের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

গাছা থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

শেরেবাংলা নগর থানা ওসি (অপারেশন) আহাদ আলী বলেন, সাধারণ ডায়েরি হওয়ার পর থেকে আমরা কাজ শুরু করি। যেহেতু এটি একটি অপহরণের বিষয়। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে হাসিবুল ইসলাম হাসিবকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। তার দেয়া তথ্যমতে আজ সকালে জিসানের মৃতদেহ আমরা উদ্ধার করি।

আমাদের তদন্ত চলছে; তবে কী কারণে বা কেন জিসানকে হত্যা করা হলো তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *