হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট বুড়িমারী সেকশনে ৮৫ কি: মি: রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও লম্বালম্বি আকৃতির রেলওয়ে স্টেশনটি শহরের ভেতরে হওয়াতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
২৪ ঘণ্টায় শহরের বিডিআর গেট এলাকায় ক্রসিং দিয়ে ৮টি ট্রেন পার হচ্ছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, নতুনভাবে রেলের অবকাঠামো উন্নয়ন, রেললাইন স্থাপন ও আধুনিক শৈল্পিক রেল স্টেশন নির্মাণ করেছে রেলওয়ে বিভাগ।
রেলের এই উন্নয়নে লালমনিরহাট বুড়িমারী সেকশনে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করে রেলওয়ে আয় করছে কয়েক কোটি টাকা।
কিন্তু শহরে মূল বিডিআর গেট দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় আন্তঃনগর, মেইল ও লোকাল মিলে ৮টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে।
এতে করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। শহরের বিডিআর গেট এলাকায় রেলক্রসিংয়ের কারণে দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে শহরটি।
ক্রসিংয়ের একপাশে সদর হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ স্টেশন, উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
আরেক পাশে জজ আদালত, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ সরকারি কলেজ। প্রতিদিন এই লাইনে কয়েকবার ট্রেনের শাল্টিংসহ রেলের বেশ কিছু কাজে দেখা যায় তীব্র যানজট।
ফলে নাগরিক ভোগান্তি নগরবাসীর নিত্য দিনের ঘটনা। এই ভোগান্তি নিরসনে অনেকদিন ধরে একটি ফ্লাইওভার নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা।
কবি শেখ ফজলল করিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুনীয়া মুন্নি বলেন, ‘বিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে ট্রেনের কারণে বাসায় যেতে অনেক লেট হয়ে যায়।’ শহরের ব্যবসায়ী মোড়ল হুমায়ন কবির জানান, প্রতিদিন বিডিআর গেট এলাকায় রেলক্রসিং দিয়ে বুড়িমারী টু লালমনিরহাট ট্রেন চলাচল করে ৮টি। যার ফলে বিডিআর গেট এলাকায় রেলক্রসিংয়ের কারণে যানজট লেগেই আছে।
অনেক সময় জরুরি রোগী মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু দাবি করেছে সরকারের এই মেয়াদে যাতে ফ্লাইওভার নির্মাণ হয়। তিনি বলেন, ‘দ্রুত ফ্লাইওভার নির্মাণ কিভাবে করা যায় তা নিয়ে প্রয়োজনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। ফ্লাইওভারটি নির্মিত হলে নাগরিক সেবা নিশ্চিতসহ বছরে প্রায় ৬শ কর্মঘণ্টার অপচয় ঠেকানো যাবে।’