হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট প্রতিনিধি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় এক নারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার কেতকীবাড়ি গ্রামে।হামরার শিকার কাজলী বেগমের (২৭) আঘাত গুরুতর। অল্পের জন্য বেঁচে গেছে ওই নারীর ডানচোখ।
ঘটনার ৪দিন অতিবাহিত হলেও আজো অভিযোগ নথিভুক্ত হয়নি।
অভিযোগ সূত্র ও উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অভিযুক্ত আনারুল ইসলাম ও অভিযোগকারী হাফিজুল ইসলাম সম্পর্কে নানা- নাতী।
উভয়ই বগুড়ায় ধান কাটার কাজ করতেন। ধান কাটতে কাটতে মশকারির ছলে একে অপরের স্ত্রী সম্পর্কে কটুক্তি করে।বগুড়া থেকে উভয়ই বাড়িতে এলে আনারুল ইসলাম তার স্ত্রীকে বিভিন্ন ধরনের অপমান জনক কথাবার্তা ও গালিগালাজ করেন।
আনারুল ইসলামের স্ত্রী বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে হাফিজুল ইসলামকে বাড়িতে ঢেকে নিয়ে এসে মারধর করে।
এ ঘটনার জেরে হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী তার বাড়ির পাশে রাস্তায় আনারুল ইসলামকে আটক করতে গেলে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আনারুল ইসলামের বাড়ির লোকজন এসে কাজলী বেগমের উপর হামলা চালায়।
এসময় হাফিজুল ইসলাম ও তার মামা মোক্তার আলীর বাড়িতেও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় কাজলী বেগমকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ঘটনায় এক পক্ষ অপর পক্ষকে দায়ী করছে।হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
উক্ত অভিযোগে আনারুল ইসলামসহ ৭জনকে আসামী করা হয়েছে।
হাতীবান্ধা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রমজান আলী বলেন, হাসপাতালে ভর্তি রোগী কাজলী বেগমের ডান চোখের নিচে আঘাত গুরুতর।সে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।