চারবছর ধরে চিত্রা হরিণ বিক্রি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে রংপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এদিকে বিক্রি না হওয়ায় হরিণের প্রজনন হচ্ছে নিয়ম মাফিক। ফলে ধারণ ক্ষমতার বাইরে যাচ্ছে হরিণের ছোট্ট পরিসরের দুইটি সেড। সেড দুটির ধারণ ক্ষমতা আছে ৪০টি হরিণের।
এখন আছে ৫০টিরও বেশি।
বিক্রি না হওয়ার কারণ কি জানতে চাইলে অফিস সহকারী আব্দুস সালাম বলেন, দাম বেড়েছে। আগে একটি হরিণ বিক্রি হতো ১৫ হাজার টাকা।
এখন সরকার একটি হরিণের দাম নির্ধারণ করেছে ৫৫ হাজার টাকা।
চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা বাদল রহমান বলেন, ২০১১ সাল থেকে হরিণ বিক্রি শুরু হয়। সৌখিন ব্যক্তিরা হরিণগুলো কিনে নিয়ে যেতেন। ৫ বছরে ৫৮টি চিত্রা হরিণ বিক্রি করে ১১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১১ সালে বিক্রি হয়েছিল প্রতিটি ১৫ হাজার টাকা করে ১৫টি, ১২ সালে ১৫ হাজার টাকা দরে ৮টি, ১৩ সালে ১৫ হাজার টাকা দরে ১০টি, ১৪ সালে ১৫ হাজার টাকা দরে ১১টি, ১৫ সালে প্রতিটি ৩৫ হাজার টাকা দরে ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও একই বছর ৩০ হাজার টাকা দরে তিনটি বিক্রি হয়েছিল ৯০ হাজার টাকা।
রংপুর চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সর্বশেষ হরিণ বিক্রি হয়েছিল ২০১৫ সালে। এরপর আর বিক্রি হয়নি। আগে বন বিভাগের অনুমতিতে বিক্রি করা যেতো। এখন অনুমতি লাগে রাজশাহী বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি বিভাগের। কয়েকগুণ দাম বৃদ্ধি ও দীর্ঘসূত্রিতা ও নানা জটিলতার কারণে কেউ আর হরিণ কিনতে আসেন না।