জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, কোন অজুহাত শুনতে চাই না, কৃষক বাঁচাতে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করতে হবে। প্রয়োজনে অর্ধেক দাম আগাম দিয়ে কৃষকের গোলায় ধান রাখা ও সরকারি গুদামে সরবরাহের পর বাকি অর্ধেক দাম পরিশোধ করার পদ্ধতি চালু করে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করতে হবে।
সরকারি গুদাম খালি না থাকলে বেসরকারি ও ব্যক্তি খাতের গুদাম ভাড়া নিতে হবে।
আপাতত চাল আমদানি বন্ধ রাখতে হবে। দেশের চাহিদা অতিরিক্ত উৎপাদিত চাল রফতানির ব্যবস্থা করার কথা ভাবতে হবে। সার, বীজ, কীটনাশক, ডিজেল, বিদ্যুৎ, শ্যালো মেশিন, পাওয়ার টিলার, ট্রাক্টর, ডিপ টিউবওয়েল, ধান মাড়াইযন্ত্রসহ কৃষি উপকরণ ও যন্ত্রপাতির দাম কমাতে হবে।
সরকারি গুদামের সম্প্রসারণ ও ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।
সরকারি উদ্যোগে কৃষিপণ্য বিপণন সমবায় গড়ে তুলতে হবে। কৃষকের নিজের উৎপাদিত শস্য নিজের রাখার জন্য সংরক্ষণে গোলা তৈরির জন্য গোলা ঋণ দিতে হবে।
রবিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় কৃষক জোটের এক মানববন্ধন ও সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শিরীন আখতার বলেছেন, ধানের মূল্য নিয়ে মধ্যস্বত্ত্বভোগী, দালাল, ফড়িয়া, চাতাল মালিক, চালকল মালিক, চাল আমদানিকারকসহ বড় বড় ধান-চাল ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট যেন কোনো কারসাজি করতে না পারে। সেজন্য সরকারকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
ইউনিয়ন ওয়ারী ধান চাষ ও ধান চাষীদের তথ্যসমৃদ্ধ ডাটাবেজ তৈরির দাবিও জানান তিনি।
জাতীয় কৃষক জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক রতন সরকারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হাবিবুর রহমান শওকত, সহ-সভাপতি শফি উদ্দিন মোল্লা, শহীদুল ইসলাম, মোহর আলী চৌধুরী, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, রোকনুজ্জামান রোকন, শওকত রায়হান, জাতীয় কৃষক জোটের আন্তর্জাতিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আহসান হাবীব শামীম ও সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল হক ননীসহ জাতীয় কৃষক জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।