হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটে ধানের দাম কমলেও চালের দাম কমেনি। কালোবাজারী সিন্ডিকেটের কারসাজির অভিযোগ।
এবারের বোরো মৌসুমে লালমনিরহাট জেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। লালমনিরহাট জেলার জেলা সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় এবছর বোরো মৌসুমে বোরো ধান ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪৮ হাজার ১২৩ হেক্টর জমি। কিন্তু আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী।
এবছর এই জেলায় বোরো ধানের চাষ হয়েছে ৪৮ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। এতে চালে উৎপাদনের পরিমান হবে দুই লাখ ৭হাজার ৪৫ মেট্রিক টন।
চলতি মৌসুমে কাঁচা বোরো ধান প্রতিমন ৫শত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচ উঠছেনা। প্রতিমন ধান ফলাতে উৎপাদন খরচ হয়েছে সাড়ে ৭ শত টাকা।
বাজারে ধানের দাম কম হলেও চালের বাজারের তার কোন প্রভাব পড়েনি। চালের দাম বেশ চড়া। লালমনিরহাট বাজারের ২৮ চাল খুচরা মুল্যে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩৯ টাকা। এতে একমন চালের দাম পড়ে এক হাজার ৫৬০ টাকা। বর্তমান প্রতিমন ধান ৫শত টকা চাল সিদ্ধ, শুকানো ও ভাঙ্গানোতে খরচ একশত টাকা হলে একমন ধান চালে উৎপাদন করতে খচর হচ্ছে মোট ৬শত টকা।
৬শত টাকায় একমন ধান হতে ২৬ কেজি চাল পাওয়া যায়। যার বাজারে খচরা মূল্য হচ্ছে এক হাজার ১৪ টাকা। অথচ এই ২৬ কেজি চাল উৎপাদনে খরচ হয়েছে ৫শত ৯৮ টাকা। যাহা বাজারের বিক্রি হচ্ছে ৪শত ১৬ টাকা বেশী মূল্যে। সাধারণ হিসাবে দেখা যাচ্ছে এক কেজি চাল উৎপাদনে ২৩ টাকা খরচ করে তাহা বাজারে বিক্রি করছে মিল মালিকরা ৩৯ টাকায়।
লালমনিরহাট জেলার জেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধূভষণ রায় জানান, ধানের দাম কম কিন্তু সেই তুলনায় বাজারে চালের দাম কিন্তু কমেনি। কৃষক ধানের দাম পাচ্ছে না।
কিন্তু ব্যবসায়ীরা চালের দাম ঠিকই পাচ্ছেন। তিনি কৃষককে ধান এখনেই বিক্রি না করে মজুদ করতে অনুরোধ করেন। কারণ সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহ শুরু হলে ধানের দাম বাড়বে।