লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: হামদর্দ ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ইউসুফ হারুন ভূঁইয়া বিরুদ্ধে প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহবধূকে ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগে লক্ষ্মীপুর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় গৃহবধূ কামরুন নাহার পলিনকেও আসামি করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে গৃহবধূর স্বামী নাজিম উদ্দিন রিপন বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল কাদেরের আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মোছাদ্দেক হোসেন চৌধুরী সবুজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, কামরুন নাহার পলিন হামদর্দ ফাউন্ডেশন পরিচালিত লক্ষ্মীপুর সদরের দত্তপাড়া রৌশন জাহান ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজের (ইউনানি) সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। গত ২২শে এপ্রিল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি কলেজ থেকে অবসরে যাওয়ার আবেদন করেন।
নাজিম উদ্দিন রিপন বলেন, আমার স্ত্রীর পলিনের সঙ্গে হামদর্দ ফাউন্ডেশনের এমডি ও জামায়াত নেতা ইউসুফ হারুনের পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ১৫ই এপ্রিল প্রলোভন দেখিয়ে তিনি আমার স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে যান। তাকে ফিরিয়ে আনতে মোবাইলফোনে কল করলে হারুন আমাকে হত্যাসহ মিথ্যা মামলা জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে বিয়ের পর থেকে বাদী রিপন স্ত্রী পলিনকে নিয়ে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার দক্ষিণ মজুপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। পরবর্তীতে হামদর্দ ফাউন্ডেশনের এমডি ইউসুফ হারুনের সঙ্গে স্ত্রী পলিনের পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি আঁচ করতে পারেন রিপন। গত ১২ই এপ্রিল ওই বাসায় আপত্তিকর অবস্থায় দেখে রিপনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাদের হাতেনাতে আটক করে। পরে গত ১৫ই এপ্রিল প্রলোভন দেখিয়ে পলিনকে ভাগিয়ে নিয়ে যান হারুন। এসময় দুই লাখ টাকাসহ মূল্যবান স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।