টাঙ্গাইলে বৃদ্ধকে লাথি মেরে হত্যা

Slider বিচিত্র


ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল): তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের দাইন্যা ইউনিয়নের ফতেপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামে মানিক মোল্লা (৫৫) নামের এক বৃদ্ধকে লাথি মেরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সাইদুর নামে প্রভাবশালী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বুধবার সন্ধ্যায় নিহত মানিকের লাশ ময়না তদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের ফতেপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামে স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে বসবাস করতেন মানিক মোল্লা। মনিক মোল্লার ছোট মেয়ে রোজিনা তার স্বামী কালামকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই থাকতেন। বৃহস্পতিবার সকালে রোজিনা ও কালামের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার পর কাউকে না বলে কালাম শ্বশুর বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরে স্বামীকে খুঁজতে রোজিনাও বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে তাদের আর কোন খোঁজখবর পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে এলাকার কিছু নারী কুৎসা রটাতে থাকে। এর মধ্যে স্থানীয় নাজমা নামের এক নারীর সঙ্গে মানিক মোল্লা ও তার স্ত্রী বাছাতন বেগমের কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি নাজমা তার ভাতিজা সাইদুরকে জানালে সে ক্ষিপ্ত হয়ে মানিক মোল্লার বাড়িতে গিয়ে এলাপাতাড়ি লাথি ঘুষি মারে। এ সময় মানিক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। লাথি ঘুষি মেরে সাইদুর বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় মানিক মোল্লাকে মারধরের বিষয়টি মেয়ে মিনাকে বলে যায়। পরে মানিকের স্ত্রী, নাতনী সুমি ও মেয়ে মিনা তাকে উদ্ধার করে মাথায় পানি ঢেলে ঘরে নিয়ে যায়।

পরের দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মানিকের অবস্থার অবনতি হলে তাকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মর্গে পাঠায়।

ময়নাতদন্ত শেষে লাশের দাফন সম্পন্ন করা হয়। এদিকে বিষয়টি এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে সাইদুলের ভাতিজা বাবু, বুদ্দু দলবল নিয়ে মানিক মোল্লার বাড়িতে গিয়ে এ ঘটনা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করার জন্য হমকি দিয়ে আসে। এ ঘটনার পর থেকে নাজমা বেগম ও সাইদুর রহমান পলাতক রয়েছে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার এসআই মো.ওয়াজেদ আলী বলেন, খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এটি হত্যা না সাধারণ মৃত্যু তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে পাওয়া যাবে। সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *