ডেস্ক: সাইবার নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বিদেশী শত্রু দ্বারা আক্রান্ত এবং তা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প। যেসব কোম্পানি বিদেশী টেলিযোগাযোগ বিষয়ক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে এই নির্দেশ। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন ওইসব বিদেশী টেলিকম প্রযুক্তির ব্যবহার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। তবে বিদেশী কোন টেলিকম কোম্পানির বিষয়ে এমন জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে, তা স্পষ্ট করে বলা হয় নি। ধারণা করা হয়, চীনা কোম্পানি হুয়াওয়েকে টার্গেট করে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কারণ, দীর্ঘদিন ধরেই এ কোম্পানিটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এন্তার অভিযোগ। তারা মনে করে, হুয়াওয়ে তার টেলিযোগাযোগ বিষয়ক প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদেশী রাষ্ট্রগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিষয়ে আড়ি পাতছে। এ খবর দিযেছে অনলাইন বিবিসি।
ওদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুয়াওয়ের নাম উল্লেখ না করলেও তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসায় বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। এর ফলে চীনের এই প্রযুক্তি বিষয়ক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন বিধিনিষেধের ফলে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তারা ও বিভিন্ন কোম্পানিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চীনের এই কোম্পানি, যারা টেলিকম খাতের যন্ত্র তৈরির সবচেয়ে বড় কোম্পানি, তারা যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যদের আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, তাদের কাজ বা প্রযুক্তি কোন ঝুঁকি তৈরি করছে না।
হুয়াওয়ের পরবর্তী ৫জি নেটওয়ার্ক বা প্রযুক্তি ব্যবহার বন্ধ করার জন্য মিত্রদের চাপ দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আলাদা আরেক ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয় হুয়াওয়েকে তার ‘এনটিটি লিস্টে’ তালিকাভুক্ত করেছে। এর অর্থ হলো সরকারের অনুমতি ব্যতিত যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো প্রযুক্তি অর্জন করতে পারবে না ওই কোম্পানি। অর্থাৎ মার্কিন কোনো কোম্পানির প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে। বিবিসির সাংবাদিকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রেরা এ উদ্যোগের ফলে দুটি দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরো খারাপ পর্যায়ে যাবে। এ সম্পর্ক এ সপ্তাহে শুল্কহার বৃদ্ধি করা নিয়ে বাণিজ্যযুদ্ধে রূপ নিয়েছে। ফলে তাদের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে এখন। এর চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শক্তির লড়াইয়ের মূলে রয়েছে হুয়াওয়ে। বিগত বছরজুড়ে বৈশ্বিক রাজনীতিতে প্রাধান্য বিস্তার করেছে এই উত্তেজনা।