ঢাকা: মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী মিরাজদের বিশ্রামে দিয়ে আজ মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। নিজেদের মাঠে বেশ ভালো ব্যাটিং করে ২৯২ রানের পাহাড় গড়ে আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশের জন্য এটা ইতিবাচক ছিল। কারণ বিশ্বকাপে এর চেয়েও বড় টার্গেট চেইজ করতে হবে। বিশ্বকাপের আগের এই ‘প্রস্তুতি’ সিরিজে বড় টার্গেট খুব ভালোভাবেই তাড়া করেছে টাইগাররা। গুরুত্বহীন এই ম্যাচে ৪২ বল এবং ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয় পেয়েছে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা মাশরাফি বাহিনী।
টার্গেট যেমন বড় ছিল, তামিম-লিটনের শুরুটাও ছিল তেমনই দুর্দান্ত। দুজনে মিলে উপহার দেন ১১৭ রানের ওপেনিং জুটি। তামিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৪৬তম হাফ সেঞ্চুরি। অন্যাপ্রান্তে লিটনও ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন। এমন সময় ছন্দপতন। রেনকিনের বলে বোল্ড হয়ে যান ৫৩ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ৫৭ রান করা দেশসেরা ওপেনার। তার বিদায়ের পর দারুণ খেলছিলেন লিটন। মনে হচ্ছিল, ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা হয়তো হয়েই যাবে। কিন্তু বিধি বাম। ম্যাককার্থির বলে টাইমিং মিস করে ক্লিন বোল্ড হয়ে শেষ হয় লিটনের ৬৭ বলে ৯ চার ১ ছক্কায় ৭৬ রানের ইনিংসটি।
এই পর্যায়ে দলের হাল ধরেন সাকিব আর মুশফিক। এই দুজনের জুটি জমে গিয়েছিল। তবে ৩৩ বলে ৩৫ রান করা মুশফিক রেনকিনের শিকার হলে ৬৪ রানেই অবসান হয় জুটির। এর মাঝেই চোটে পড়েন সাকিব। মাঠেই কিছুক্ষণ শুশ্রুষা নিয়ে ব্যাটিং শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। আউট হওয়ার আগে তিনি ৫১ বলে অপরাজিত ৫০* রান করেন। এটা তার ক্যারিয়ারের ৪২তম হাফ সেঞ্চুরি। এরপর সিরিজে প্রথমবার একাদশে সুযোগ পাওয়া মোসাদ্দেক আউট হন ১৪ রান করে। মাহমুদউল্লাহ (৩৫*) আর সাব্বির (৭*) দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল আয়ারল্যান্ড। পল স্টার্লিং আর জেমস ম্যাককালাম দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। রুবেল হোসেন এবং আবু জায়েদকে দিয়ে বোলিং ওপেন করান ক্যাপ্টেন মাশরাফি। অবশেষে অভিজ্ঞ রুবেলই ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন বাংলাদেশকে। দলীয় ৪৪ রানে রুবেলের বলে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন জেমস ম্যাককালাম (৫)। অভিষেকে ফ্লপ আবু জায়েদ আজ নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট পেয়ে যান। মুশফিকের দারুণ ক্যাচে ফিরেন অ্যান্ড্রু বালবার্নি (২০)।
পরপর দুই বলে দুইবার জীবন পাওয়া স্টার্লিং ১২৭ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন। ১৪১ বলে ৮ চার এবং ৪ ছক্কায় গড়া তার ১৩০ রানের ইনিংস থামে আবু জায়েদের বলে লিটনের তালুবন্দি হয়ে। ২৫ বছর বয়সী এই পেসার আরও তিন উইকেট নেন। তার শিকার হয়েছেন কেভিন ও’ব্রায়েন (৩), উইলসন (১২) এবং উলিয়াম পোর্টারফিল্ড। এর মধ্যে ১০৬ বলে ৭ চার ২ ছক্কায় ৯৪ করা পোর্টারফিল্ডের আউটটি অবশ্যই দুঃখজনক। ৯ ওভারে ৫৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন জায়েদ। সাইফউদ্দিন নিয়েছেন ২ উইকেট।