নাটোর: নাটোরের নলডাঙ্গার বাঁশিলা গ্রামে ঘর থেকে মা শারমিন বেগম ও বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ২ বছরের শিশু আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দূর্বৃত্তরা শারমিনকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে ও বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে যায়। উম্মে হালিমা শারমিন বেগমের স্বামী মাহমুদুল হাসান মুন্না ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, গত রাতে সেহরি খাবার জন্য উঠলে বাড়ির লোকজন বাহির থেকে সব রুমের দরজা বন্ধ দেখে চিৎকার শুরু করে। এটা শুনতে পেয়ে প্রতিবেশীরা বাড়ির গেট ও রুমের দরজা খুলে দেয় । পরে বাড়ির লোকজন শারমিনের রুমের দরজা খোলা পেয়ে ঘরে প্রবেশ করে শারমিনের মরদেহ গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় ঘরের জিনিসপত্র মেঝেতে এলোমেলো অবস্থায় পড়ে ছিল। এরপরে তার ২ বছরের শিশু আব্দুল্লাহকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি করতে করতে সকালে তার মরদেহ বাড়ির পাশের ডোবায় ভাসতে দেখে তারা। তাদের ধারনা বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে গেলে প্রাচীর টপকে দূর্বৃত্তরা বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়ির কেউ যাতে বাইরে বের হতে না পারে সেজন্য বাইরে থেকে তারা দরজাগুলো লাগিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে ও ছেলেকে পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা বেড়িয়ে আসবে।।