ঢাকা: বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয় এতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক, বিশিষ্ট নাগরিক ও বিএনপির সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কূটনীতিক ও অনান্য অতিথিদের ইফতার মাহফিলে স্বাগত জানান বিএনপি নেতারা। বিভিন্ন টেবিলে বসে স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা কূটনীতিক ও অতিথিদের সঙ্গে ইফতার করেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ দলটির সিনিয়র নেতারা বিভিন্ন টেবিলে গিয়ে অতিথিদের সাথে কুশল ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ইফতারের আগ মুহুর্তে আগত অতিথিদেরকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে অতিথিদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও নির্বাহী কমিটির সদস্য জেবা খান। এরপর বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের শাহ মো: নেছারুল হক। ইফতার মাহফিলে কূটনীতিকদের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, ভারতের হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ডাবরিন ওজ তুর্কি, কাতারের রাষ্ট্রদূত আহাম্মেদ মোহাম্মদ আল দেহাইমি, পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার শাহ ফয়সাল কাকার, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শার্লোতা স্লেটার, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি এনিক বুর্ডিন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন, জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরো আশু ইজুমি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত স্টানুফিনোস ভার্দাকিস, ড্যানিশ রাষ্ট্রদূত মিস উইনি স্ট্রুপ পিটারসন, শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার, লিবিয়ার দূতাবাসের প্রতিনিধি ছাড়াও ২৭ টি দেশের রাষ্ট্রদূত সহ মোট ৩৭ দেশের কূটনীতিকরা অংশগ্রহণ করেন। বিশিষ্টজনদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।মিডিয়া ব্যক্তিত্বের মধ্যে নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বিডিনিউজের সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী প্রমুখ। বিএনপির নেতাদের মধ্যে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, শওকত মাহমুদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, সেলিমা রহমান, বরকত উল্লাহ বুলু, জয়নুল আবেদীন, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, গোলাম আকবর খোন্দকার, রিয়াজ রহমান, ড. এনামুল হক চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান প্রমুখ।