বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার: ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ না পেয়ে বিক্ষোভ করেছেন পদ বঞ্চিতরা। সোমবার কমিটি প্রকাশের কিছুক্ষণ পরই তারা বিক্ষোভ করেন। এরপর সন্ধ্যায় মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে পদ বঞ্চিতদের ওপর হামলা চালায় শোভন-রাব্বানীর অনুসারীরা। এসময় বেশ কয়েজন আহত হন। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জনান, ইফতারের পর সংবাদ সম্মেলন শুরু করতে গেলে তাদের উদ্দেশ করে বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দিয়ে স্লেজিং করে শোভন-রাব্বানীর অনুসারীরা। এক পর্যায়ে ভুয়া ভুয়া বলে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের ওপর হামলে পড়ে তারা। হট্টগোলের মধ্যে চেয়ার ছুড়াছুড়ি করে উভয় পক্ষ। এক পর্যায়ে পদ বঞ্চিতদের ধরে ধরে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে মধু ছাড়া করে শোভন-রাব্বানীর অনুগতরা। হামলায় বেশ কয়েজন নারী নেত্রীও আহত হন।
এর আগে ইফতারের আগ মূহুর্তে মধুর ক্যান্টিন থেকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাজু ভাস্কর্যে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এদিকে মধুর ক্যান্টিনে বিক্ষুব্ধদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে একাংশের বিরুদ্ধে। পদ বঞ্চিতরা অভিযোগ করে বলেন, এ হামলা কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা চালিয়েছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে গত কমিটির প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু বলেন, ‘তারা (শোভন-রাব্বানী) একটি বিতর্কিত কমিটি ঘোষণা করেছেন। আপনারা জানেন, এই কমিটিতে শিবির কোটাধারীদের স্থান দেয়া হয়েছে। যারা ক্যাম্পাসে বিগত ১০ বছরে ছাত্রলীগের মিছিল-মিটিং করেছে, ডাকসু নির্বাচনসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা করেছে তাদের এই কমিটিতে স্থান দেয়া হয়নি। আমরা শেখ হাসিনা কাছে একটি দাবি জানাতে চাই, এই বিতর্কিত কমিটিতে যারা বিতর্কিত তাদের বাদ দিয়ে প্রকৃত ছাত্রলীগকর্মীদের মূল্যায়ন করার। বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাবেক পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন, উপ অর্থ সম্পাদক তিলোত্তমা শিকদার, উপ সম্পাদক সৈয়দ আরাফাত, রোকেয়া হলের সভাপতি বিএম লিপি আক্তার, কুয়েত মৈত্রী হলের সভাপতি ফরিদা পারভীন, সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী শায়লা প্রমুখ।