ঢাকা: ঢাকার উত্তরখানে বদ্ধ ঘর থেকে একই পরিবারের উদ্ধারকৃত তিনটি মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আজ দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তে তাদেরকে হত্যা করার আলামত পেয়েছেন ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা। ছেলে মুহিব হাসানকে (৩০) গলা কেটে, মা জাহানারা বেগম মুক্তাকে (৫০) শ্বাসরোধে ও মেয়ে তাসফিয়া সুলতানা মিমকে (১৮) গলায় গামছা পেঁছিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ বলেন, ময়নাতদন্ত করে আমরা জানতে পেরেছি ছেলেকে মারা হয়েছে গলা কেটে। তার গলায় আমরা আঘাতের জখম পেয়েছি। আর মা-মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। মায়ের গলায় ও পেটে আঘাতের চিহৃ পেয়েছি। তিনি বলেন, আলামত দেখে আমাদের মনে হচ্ছে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের ভিসেরা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ক্রাইম সিন ভিজিট করে মরদেহগুলো কিভাবে কি অবস্থায় পড়ে ছিল সেটা দেখলে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে ৭২ ঘন্টা আগে হত্যার কারণে অনেক আলামত নষ্ট হয়ে গেছে বলেও জানান এই ফরেনসিক চিকিৎসক।
এর আগে গতকাল উত্তরখানের ময়নারটেক এলাকার একটি বাসার ভেতর থেকে ছিটকিনি আটকানো অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় ঘরের ভেতর টেবিলের উপরে একটি চিরকুট লেখা পায় পুলিশ। সেখানে লেখা ছিল আমাদের মৃত্যুর জন্য আমাদের ভাগ্য ও আমাদের আত্মীয় স্বজনদের অবহেলাই দায়ী।