ঢাকা: রাজধানীর উত্তরখানের একটি বাসা থেকে মা, মেয়ে ও ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত সোয়া ১০টার দিকে উত্তর খানের চাপানেরটেক এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ছেলে ও মায়ের লাশের পাশে চিরকুট উদ্ধার করেছে, যা থেকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে তারা। চিরকুটে লেখা ছিলো ‘আমাদের মৃত্যুর জন্য ভাগ্য ও আমাদের আত্মীয়-স্বজনের অবহেলাই দায়ী। আমাদের মৃত্যুর পর আমাদের সম্পদ গরিবদের মাঝে বিলিয়ে দেয়া হোক। ইতি জাহানারা বেগম।’
গতকাল রাতে বাসাটির অন্য বাসিন্দারা দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ প্রথমে ভেতর থেকে দরজার বন্ধ করা অবস্থায় দেখতে পায়। দরজা ভেঙে ভেতরে দেখা যায়, মা ও মেয়ের মরদেহ ছিল বিছানায় আর ফ্লোরে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখা যায় ছেলের মরদেহ। ঘরের মেঝেতে প্রচুর রক্ত। রক্ত কালো রঙ ধারণ করেছে। প্রচণ্ড দুর্গন্ধ। পাশে ড্রইং রুমের টেবিলে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। চিরকুটটি মোবাইলফোন দিয়ে চাপা দেয়া ছিল। এরপর পুলিশ এসে মা জাহানারা বেগম মুক্তা (৪৫), ছেলে কাজী মুহিত হাসান (২৮) ও মেয়ে তাসপিয়া সুলতানা (২২)’র লাশ উদ্ধার করে। তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। জাহানারা বেগমের স্বামী ইকবাল হোসেন দুই বছর আগেই মারা গেছেন। একতলা বাসায় ওই পরিবারসহ তিনজন ব্যাচেলর ভাড়া থাকতেন। বাকি ভাড়াটেরা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। ১লা মে বাসা ভাড়া নিয়েছিল পরিবারটি। তাদের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।
উত্তরখান থানার ওসি হেলাল উদ্দিন চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বেকার মুহিত মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার করে থাকতে পারেন। আর মেয়েটি ছিলেন মানসিক প্রতিবন্ধী।