নেশা এমন চড়েছে যে সমানে নেচে যাচ্ছেন নায়িকা। কেউ থামাতে গেলে কারো বাধা শুনছেন না। উল্টে সবাইকে তাঁর সঙ্গে নাচতে বাধ্য করছেন! সোনমের এমন পাগলামি দেখে চিন্তায় কালঘাম ছুটেছিল প্রযোজক-অভিনেতা আরবাজ খানের। কারণ গোটা ঘটনাটাই ঘটেছে আরবাজের নতুন ছবি ‘ডলি কি ডোলি’ সেটে। ‘ফাট্টে তক নাচনা’ গানের শুটিংয়ের সময়ই নেশাড়ু সোনমকে দেখে চমকে ওঠেন সবাই। সোনমকে থামাতে না পেরে পরিস্হিতি এতটাই ভয়ানক হয়ে উঠেছিল যে তাঁর বাবা অনিল কাপুরকে ফোন করবেন বলে ভাবছিলেন আরবাজ। এসবের জন্য অনিল তাঁকেই দোষ দেবেন বলেও ভয় পাচ্ছিলেন তিনি। কারণ, চিত্রনাট্যের প্রয়োজনেই ওই গানে মাতাল হতে হয়েছিল সোনমকে। ঘাগরা-চোলি-চূড়া পরে গ্ল্যামারাস সোনম নাচছিলেন মদের বোতল হাতে। ক্যামেরা চালু হতেই সোনম এমন মাতালের মতো নাচতে শুরু করেন যে পরিচালক-প্রযোজক থেকে উপস্থিত কলাকুশলীরা প্রত্যেকেই স্তম্ভিত হয়ে যান। সবাইকে লুকিয়ে সোনম কখন এত পরিমাণে মদ পান করলেন ভেবে পাচ্ছিলেন না কেউই। কাজ বন্ধ করে হাঁ করে সোনমকে দেখছিলেন স্পটবয়রাও। পাক্কা আট মিনিট ধরে উদ্দাম নেচে শেষ পর্যন্ত থামলেন সোনম। একটুকুও না হাঁপিয়ে হাসিতে গড়িয়ে পড়লেন তিনি। সোনমের কাণ্ডকারখানা দেখে ফের অবাক সবাই। হাসতে হাসতে নায়িকা জানালেন, এক ফোঁটাও ড্রিঙ্ক করেননি। মজা করার জন্যই এভাবে নাচছিলেন। আরবাজ এই ঘটনার কথা স্বীকার করে বললেন, ‘সোনম আমাদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল৷ অনেক পরে আমরা বুঝতে পারলাম ও মজা করছে।’