কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় আটক ৫ আসামির ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার বিকেলে জেলা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক আল মামুন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে তানিয়াকে হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাজধানীতে ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে চিকিৎসক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছেন। নিহত শাহিনুর আক্তার তানিয়া (২৩) কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুড়ি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে।
তিনি ঢাকার ইবনেসিনা হাসপাতালের নার্স ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বর্ণলতা পরিবহনের বাসটি ঢাকার মহাখালি থেকে সোমবার সন্ধ্যার দিকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। ঢাকার বিমান বন্দর স্টেশন থেকে তানিয়া বাসে উঠেন।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পর্যন্ত বাসটিতে ১৯ জন যাত্রী ছিল। এরমধ্যে কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে ১৬ জন যাত্রী নেমে যান। এ সময় বাসটিতে তানিয়া ছাড়াও দুজন পুরুষ যাত্রী ছিলেন। বাসটি কটিয়াদী থেকে ছাড়ার পর অন্য দুটি স্টেশনে দুজন পুরুষ যাত্রীও নেমে যান। এরপরেই ঘটনাটি ঘটে।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, বাসের চালক নূরুজ্জামান ও হেলপার লালনসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তারা পুলিশকে জানিয়েছে, তানিয়ার কানে এয়ারফোন লাগানো ছিল। সব যাত্রী নেমে যাবার পর তানিয়া নিজেকে একা দেখে চলন্ত বাস থেকে দৌড়ে নেমে যাচ্ছিলেন। এ সময় হেলপার বাধা দিলে তিনি বাস থেকে লাফিয়ে পড়েন। পরে তাকে স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যায় তারা। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঐ বাসে করেই রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কটিয়াদী হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।