রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) লিজ দেওয়া বাগান থেকে লিচু পাড়তে গিয়ে বেধড়ক মারপিটের শিকার হয়েছেন কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা। লিচু বাগান লিজ নেওয়া সেই স্থানীয়দের মারপিটে ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান কাননের দু’টি হাতই ভেঙে গেছে।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের পেছনের লিচু বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের ঘটনায় কানন ছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান।
তারা দু’জনেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকয়া হলের পেছনে লিচু পাড়তে যান কানন ও মেহেদীসহ বেশ ১৫-১৬ জন ছাত্রলীগ নেতা। এসময় বাগানটি পাহারার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাদেরকে লিচু পাড়তে বাধা দেন।
তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের লাঠি-সোটা নিয়ে তাড়া করে বাগান প্রহরীরা। তাড়া খেয়ে পালানোর সময় মাটিতে হোঁছট খেয়ে পড়ে যান কানন ও মেহেদী। এসময় এই দুজনকে ধরে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে স্থানীয় ওই যুবকেরা। এতে ছাত্রলীগ নেতা কাননের দুই হাত ভেঙে যায় ও মেহেদীর পায়ে গুরুতর জখম হয়।
পরে আহত অবস্থায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা মেডিকেলের ৮ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার রাতেই নগরীর মতিহার থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়। হত্যাচেষ্টা এই মামলায় আশীষ নামের এক স্থানীয় যুবককে আটকও করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে নগরীর কাজলার বাসা থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানান মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, মারধরের ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। মারধরকারীদের একজনকে আটক করা হয়েছে বলে শুনেছি। সবাইকে আটক করতে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা ইমরান বাদী হয়ে ছয় জনের নাম উল্লেখ করে ও ৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। সেই মামলায় আশীষ নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।