ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি বলেছেন, বিএনপিকে নাকে খত দিয়ে বর্তমান সরকারের অধীনে ২০১৯ সালের নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে হবে।
ষড়যন্ত্র করে মানুষ হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আরো চার বছর মেয়াদ রয়েছে। কেননা দেশের সংবিধান অনুযায়ী আরো চার বছর পরে দেশের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কট্যুক্তি করার প্রতিবাদে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
সংগঠনের সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ, দপ্তর সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মিলন, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. জামাল হোসেন, সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইনসুর আলী, ঢাকা মহানগর সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. হান্নান শেখ, সহ-সভাপতি এইচ.এম হূদয়, সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ।
মায়া বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আএসআইয়ের এজেন্ট হিসেবে দেশর একটি অকার্যকর রাষ্টে পরিনিত করতে চায়। সেজন্য মা-পুত্র মিলে দেশটাকে মিথাচারে পরিপূর্ণ করে ফেলেছে।
তিনি বলেন, তারা যেভাবে দেশে মিথ্যাচার শুরু করেছে তাতে সত্য উদঘাটন এখন আওয়ামী লীগের পবিত্র দায়িত্ব হয়ে পড়েছে।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে মায়া বলেন, ফেরারী আসামী হিসেবে লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র না করে দেশে ফিরে এসে আইনের মোকাবেলা করুন। নির্দোষ হলে খালাস পাবেন আর দোষী হলে শাস্তি ভোগ করবেন।
মায়া বলেন, গত ৫ জানুয়ারীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন না হলে দেশে সামরিক আইন জারী হতো। দেশের গণতন্ত্র বিপন্ন হতো। এ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে। তাই আগামী ৫ জানুয়ারী আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের বিজয় দিবস হিসেবে পালন করবে।