ঢাকা: সাম্বা মাতাবে বিশ্বকে, নাকি ফুটবল ঢেউ তুলবে সাম্বায়? কিছুক্ষণ পরই এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে ব্রাজিলের সর্ববৃহৎ শহর সাও পাওলোর অ্যারিনা কোরিন্থিয়াস স্টেডিয়ামে। স্বাগতিক ব্রাজিল ও ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠছে বিশ্বকাপ ফুটবলের ২০তম আসরের।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ২টা) অ্যারিনা কোরিন্থিয়াসে প্রথমে বল গড়ানোর মধ্য দিয়ে এ জমজমাট লড়াই শুরু হওয়ার দু’ঘণ্টা আগে সাম্বা নৃত্যে বিশ্বকে মাতিয়ে তুলবে ব্রাজিলিয়ানরা।
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরো বিশ্বকে ব্রাজিলের ফুটবলপ্রেম আর সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের জানান দিতে পরিবেশনের ইতোমধ্যে বর্ণাঢ্য সাজে সেজেছে অ্যারিনা কোরিন্থিয়াস।
চতুষ্কোণের এ স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে বিশ্বকে নাচ-গানে মাতিয়ে তুলবেন স্থানীয় শিল্পী ক্লদিয়া লইতে, কিউবান-আমেরিকান ৠাপার পিটবুল ও আমেরিকান সংগীতশিল্পী জেনিফার লোপেজ। বিশ্বকাপের অফিসিয়াল থিম সং ‘ওলে ওলা’ও (উই আর ওয়ান) পরিবেশন করবেন তারা। এছাড়া, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘আরব আইডল’ বিজয়ী ফিলিস্তিনি গায়ক মোহাম্মদ আসাফও থাকছেন।
দিনের বেলার ২৫ মিনিটের অনুষ্ঠানে থাকছে ‘ক্যাপোয়েইরা’। নাচ, গান ও অ্যাক্রোবেটিকসের ব্রাজিলিয়ান এ মার্শাল আর্ট পরিবেশনের পর সাজপোশাকে ব্রাজিলিয়ান সংস্কৃতি-ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলা হবে অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানের সবচেয়ে বড় চমক দেখাবে আধুনিক বিজ্ঞান। সবাইকে অবাক করে ব্রাজুকায় লাথি দিয়ে বিশ্বকাপ উদ্বোধন করবেন অত্যাধুনিক রোবোটিক এক্সোস্কেলেটন বা ধাতব বহিঃপোশাক পরিহিত একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী।
অনুষ্ঠানে প্রায় ৬০০ শিল্পী বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয় জয়ের চেষ্টা করবেন। খুব অল্প সময়ের হলেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করবে বলেই ধারণা করছেন আয়োজকরা।