ঢাকা: নিজের বডিগার্ড, থাই এয়ারওয়েজের সাবেক বিমানবালা সুথিদা তিদজাই’কে বিয়ে করলেন থাইল্যান্ডের রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ন। বুধবার তাকে বিয়ে করে তিনি রানীর মর্যাদা দিলেন। ফলে সুথিদা এখন শুধুই সুথিদা নন। তিনি এখন কুইন সুথিদা বা রানী সুথিদা। বিস্ময় সৃষ্টিকারী এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে রয়েল গেজেটে। এরপর তা রাতের বেলা রয়েল নিউজ অংশে সম্প্রচার করেছে থাইল্যান্ডের সব টেলিভিশন চ্যানেল।
থাই এয়ারওয়েজের সাবেক বিমানবালা সুথিদাকে নিজের দেহরক্ষীদের একটি ইউনিটের উপ কমান্ডার হিসেবে ২০১৪ সালে নিয়োগ দেন ভাজিরালংকন। এ সময় বা এর পরে তাদের মধ্যে রোমান্টিক সম্পর্ক নিয়ে রাজপরিবারের অনেক পর্যবেক্ষক ও বিদেশী মিডিয়া খবর প্রকাশ করে।
বলা হয়, তাদের মধ্যে গড়ে উঠেছে গভীর প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু এ সম্পর্কের কথা কখনো রাজপরিবার বা রাজপ্রাসাদ থেকে স্বীকার করা হয় নি।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে রয়েল থাই সেনাবাহিনীর একজন পূর্ণাঙ্গ জেনারেল হিসেবে সুথিদাকে পদোন্নতি দেন রাজা ভাজিরালংকর্ন। এরপর ২০১৭ সালে তাকে তার ব্যক্তিগত প্রহরীদের উপ কমান্ডার নিয়োগ করেন। এ ছাড়া তিনি তাকে থানপুইং বিশেষণে ভূষিত করেন। থাইল্যান্ডে এটি হলো একটি রাজকীয় পদবী, যার অর্থ হলো লেডি।
অবশেষে তাকেই রাণী হিসেবে ঘরে তুললেন থাই রাজা। বুধবার তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা, রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্য, রাজপ্রাসাদের উপদেষ্টারা। উল্লেখ্য, রাজা ভাজিরালংকর্নের বয়স ৬৬ বছর। এর আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন তিনবার। তিনটি বিয়েতেই বিচ্ছেদ ঘটেছে। তার রয়েছে সাতটি সন্তান।
৭০ বছর সিংহাসনে থাকার পর ২০১৬ সালের অক্টোবরে তার পিতা রাজা ভূমিবল আদুল্যাদেজ মারা যান। এর ফলে উত্তরাধিকার সূত্রে থাইল্যান্ডের রাজা জন ভাজিরালংকর্ন। তিনি রাজা রামা এক্স নামেও পরিচিত।