ঢাকা: সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষন করলে বুঝা যায়, বেগম জিয়া কি মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন! এমন জল্পনা কল্পনা চলছে এখন দেশে-বিদেশে। বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত ৮জনের মধ্যে ৭জন সংসদ সদস্য ইতোমধ্যে শপথ নিয়ে সংসদে যোগদান করেছেন। পরিস্থিতি বলছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও শপথ গ্রহন করতে পারেন এবং এই খবর ফখরুল আগেই জানতেন।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষনে দেখা যায়, সম্প্রতি রাজনৈতিক অংঙ্গনে সমঝোতার যে আলোচনা চলছে তা অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গতকাল শপথ নেয়া ৪জন সংসদ সদস্যের বক্তব্য থেকে বুঝা যায়, তারেক রহমানের নির্দেশে তারা শপথ নেন। এই ধুঁয়াশা দূর করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশেই বিএনপির সাংসদদের সংসদে যোগদান।
গণমাধ্যমের বিভিন্ন সূত্র বলছে, কারাগার থেকে বেগম জিয়া তারেক রহমানকে যে ভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন সেই ভাবেই তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির সাংসদদের সংসদে যোগদানের। এটা যদি সঠিক হয় তবে অনুমেয় যে, কারান্তরীণ বেগম জিয়ার সাথে সরকারের কোন ধরণের সমঝোতা হয়ে থাকতে পারে। আর যদি সমঝোতা হয়েই থাকে তবে বিএনপি আশা করতে পারে যে, যে কোন সময় বেগম জিয়ার মুক্তি মিলতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র বলছে, বেগম জিয়ার মুক্তি হওয়ার পর তিনি বিদেশে যাবেন চিকিৎসার জন্য। আর সে যাওয়াটা হতে পারে কারাগার থেকে বিমাবন্দর।
পরিশেষে বলা যায়, পরিস্থিতি যাই হউক, বেগম জিয়া মুক্তি পেলে রাজনীতিতে একটি শীতল হাওয়া বইতে পারে। আর এই ফাঁকে সরকারও তাদের বৈধতার প্রশ্নটি আপাতত এড়িয়ে যাওয়ার সূযোগ পাবে। ফলে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনটি পুরোপুরি বৈধ হয়ে যাবে।