ঢাকা: তারা সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তাদেরকে নগ্ন করে শরীর চেক করা হয়েছে। দেখা হয়েছে, কার ঋতুচক্র চলছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে পাঞ্জাবের বাথিন্ডার তালওয়ান্ডি সাবোতে অবস্থিত আকাল ইউনিভার্সিটি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আকাল ইউনিভার্সিটি। এর এক ডজন বা তারও বেশি ছাত্রী অবস্থান করেন ক্যাম্পাসের একটি হোস্টেলে। সম্প্রতি সেখানকার টয়লেটে কেউ একজন ফেলে আসেন ব্যবহৃত স্যানেটারি প্যাড।
কে এ কাজ করেছেন তা সনাক্ত করতে ওই হোস্টেলের রক্ষণাবেক্ষণকারীরা ছাত্রীদের নগ্ন করেছেন। চেক করে দেখেছেন কার ঋতুচক্র চলছে।
এ ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর সেখানে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন প্রায় ৬০০-৭০০ শিক্ষার্থী। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ দু’জন নারী রক্ষাণাবেক্ষণকারী ও দু’জন নারী নিরাপত্তারক্ষীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। প্রথম দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টি ঘটনাটিকে একটি ছোট ভুল বলে দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন। ফলে কোনো আইনগত পদক্ষেপে না গিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই চার কর্মচারীকে বরখাস্ত করে। কর্তৃপক্ষ বিলম্বে এ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে অভিযোগ এনেছেন শিক্ষার্থীরা।
তারা আরো অভিযোগ করেছেন, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস অতিমাত্রায় রক্ষণশীল। এমন কি সেখানে মেয়ে ও ছেলেদের মধ্যে কথা বলাও অনুমোদিত নয় বলে তাদের দাবি। বিক্ষোভে যোগ দেয়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমরা ওইসব ওয়ার্ডেন ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
গত বছর নভেম্বরে একই রকম ঘটনা ঘটেছিল একটি স্কুলে। সেখানকার টয়লেটে স্যানিটারি প্যাড পাওয়ার পর শিক্ষিকারা প্রায় ১৫ জন ছাত্রীকে নগ্ন করে চেক করেছিলেন। এ ঘটনা ভারতের একটি গ্রামে ঘটেছিল। সেই একই ঘটনা যেন এবার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটলো। আকাল ইউনিভার্সিটিতে দু’জন নারী নিরাপত্তারক্ষী কমপক্ষে ১২ জন ছাত্রীকে নগ্ন করে তাদের শরীর চেক করেন।