সিলেট প্রতিনিধি :: গত কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহে সিলেটবাসী যখন হাস-ফাঁস করছে। তখন বৃষ্টি পরশ স্বস্তি এনেদিয়েছে জনমনে। শনিবার (২৭এপ্রিল১৯) দুপুর ১২টার দিকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় অনেক পথচারিকে দাড়িতে আনন্দের সাথে বৃষ্টি ভিজতে দেখা যায়। অনেকে আবার বৃষ্টির জন্য মহান রবের শোকরিয়া জ্ঞাপন করেন।
টানা ৩/৪ দিনের তিব্র তাপদাহে সারা দেশের ন্যায় সিলেটবাসী চরম অস্বস্তি ও তীব্র গরমে প্রান ওষ্টাগত ছিল। গরমের এ প্রানদাহী আক্রমনে সবচেয়ে বেশী শিকার শিশু ও বয়স্করা। অনেক নবজাতক নিওমোনিয়াসহ গরমজনিত অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছিল আশংকাজনক হারে। বয়স্করাও এ দুই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছুটেছেন। বিশেষ করে শ্বাসকষ্টের রোগীদের ভোগান্তি ছিল চরমে।
তাপদাহ দীর্ঘায়িত হবার আশংকায় আতংকিত ও তটস্ত হয়ে পড়েছিলেন সিলেটবাসী । গরমের প্রভাব পড়েছে ব্যবসা-বানিজ্যেও। খুব জরুরী না হলে মানুষ কেনাকাটায় বের হননি। অন্যান্য কাজও উঠেছে শিকেয়। আর শারীরিকভাবে কঠোর পরিশ্রমের কাজ যারা করেন তাদের অবস্থা ছিল আরো খারাপ। বিশেষ করে রিকশা, ঠেলাওয়লাদের একটু পরপরই বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে। এত দুর্ভোগের মধ্যে কেবল তরমুজ ও শরবত ওয়ালাদের অবস্থা ছিল রীতিমতো পোয়াবারো। আর তীব্র গরমে একটু স্বস্তির আসায় এসব অস্বাস্থ্যকর শরবত ও ধুলাবালুযুক্ত তরমুজ খেয়ে স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝঁকি ডেকে আনছে।