ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে খালেদা বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।
আজ সকাল সাড়ে ৭ টায় নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
মিছিলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান, দপ্তর সম্পাদক এ বি এম রাজ্জাক, কাফরুল থানা বিএনপি সভাপতি আক্তার হোসেন জিল্লু, বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন দিলু, আঃ আউয়াল, এনায়েত হাফিজ, ইঞ্জিনিয়ার মজিবুল হক, হারুন অর রশীদ খোকা, ছাত্রনেতা মাসুদসহ ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র অসংখ্য নেতাকর্মী অংশ নেন।
মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রিজভী আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ও আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে নির্দোষ খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দী করে রাখার উদ্দেশ্যই ছিল মধ্যরাতে নির্বাচন করা। এই নির্বাচন ছিল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক রাতের আঁধারে ব্যালট বাক্স পূর্ণ করা। তাই জবাবদিহিতাহীন সরকারের দুঃশাসনে সাম্প্রতিককালে এক ভয়াবহ নারী নির্যাতনের শিকার নুসরাত জাহান রাফিসহ দেশব্যাপী নারী হত্যা, নারী নির্যাতনের হিড়িক পড়েছে। অনাচার-অবিচার চরম মাত্রায় উপনীত হয়েছে। রাষ্ট্র-সমাজে নৈরাজ্যের ব্যাপক বিস্তারে মানুষের জানমালের কোন নিরাপত্তা নেই।
ক্ষমতাসীন দলের লোক হলে তার সাতখুন মাফ, আর বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা যারা ন্যায়ের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার তাদের মায়ের কোল খালি করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাদের ঠিকানা নির্ধারণ করা হয়েছে একমাত্র কারাগারে।
সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতাসীন মহলের পছন্দের লোকেরা উর্দ্ধতন কর্মকর্তা হয়ে মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তাকে অনিশ্চিত করেছে। তিনি বলেন, ওয়াসা কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারনে দূষিত পানি পান করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। এতে দূষিত পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ঢাকাবাসী। চারিদিকে শুধু জন্ডিস, কালাজ¦র, ডেঙ্গুজ¦র, টাইফয়েড, ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগে মানুষের আক্রান্ত হওয়ার খবর ভেসে আসছে, এই সরকারের আমলে মানুষের বেঁচে থাকাটায় সবচেয়ে কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এই প্রচন্ড খরতাপে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যূতের লোডশেডিং জনজীবনকে দূর্বিষহ করে তুলেছে।
এখন সারাদিনে দু’এক ঘন্টার বেশী গ্যাস থাকে না। গ্যাসের এই তীব্র সংকটে কল-কারাখানা, বিদ্যূৎ ও গৃহস্থালীর কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। সুষ্ঠু ভোট, আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ইত্যাদি শেখ হাসিনা কবরে পাঠিয়েছেন বলেই সমাজে অনাচার, সন্ত্রাস ও রক্তপাতের এখন বাড়বাড়ন্ত।
সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে রিজভী আহমেদ বলেন, এদেশের কোটি কোটি জনতার আশা-আকাঙ্খার প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রেখে অবৈধ ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা যাবে না।
অবিলম্বে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে। একদলীয় নিষ্ঠুর শাসনের কষাঘাত থেকে দেশনেত্রীকে কারামুক্ত করতে জনগণ এখন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।