কলকাতা: পাকিস্তানি সাবেক ক্রিকেটার, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে অভিনেত্রী মুনমুন সেনের বিশেষ সম্পর্ক ছিল। সেটাকে মুনমুন ভাল বন্ধুর পর্যায়েই রেখেছেন। সময়ের ব্যবধানে ইমরান এবং মুনমুন দু’জনেই রাজনীতির ময়দানে। ইমরান আজ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। আর মুনমুন দ্বিতীয়বার সাংসদ হওয়ার জন্য লড়াইয়ে নেমেছেন। পিটিআই সংবাদ সংস্থার সঙ্গে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মুনমুন বলেছেন, ইমরান আমার বন্ধু। যদিও আমাদের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি আরও জানিয়েছেন, শুধু তিনি নন, কলকাতায় ইমরানের অনেক বন্ধু-বান্ধব রয়েছেন।
মুনমুনের স্বামীও ইমরানের বন্ধু বলে জানিয়েছেন তিনি। অনেক বছর আগে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সূত্রে যখন ইমরান কলকাতায় এসেছিলেন তখনই তার সঙ্গে শেষবার দেখা হয় মুনমুনের।
একদিকে যখন পুলওয়ামা জঙ্গী হামলা আর বালাকোটে ভারতীয় বিমান বাহিনীর স্ট্রাইকে ভারত-পাক সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে, তখন নির্বাচনের মাঝেই মুনমুন সেন বলেছেন, প্রয়োজনে তিনি ফের কথা বলবেন পুরনো বন্ধু ইমরানের সঙ্গে। জাতীয়তাবাদ ও ভারত-পাক শত্রুতা নিয়ে যে রাজনীতি হচ্ছে সে সম্পর্কে মুনমুন বলেছেন, যেভাবে বিভেদের রাজনীতি চলছে তা ভয়ঙ্কর। ভারত-পাকিস্তান বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে ফের তিনি ইমরানের সঙ্গে কথা বলবেন কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে মুনমুনের সাফ জবাব, কেন নয়? উনি তো আমার বন্ধু। সম্প্রতি ইমরান খান বলেছেন, মোদী সরকার ক্ষমতায় এলে ভারত-পাকিস্তানের শান্তি আলোচনার পথ সহজ হবে। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন মুনমুন সেন এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটা একেবারেই রাজনৈতিক বক্তব্য।
তাই এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি তিনি। নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুনমুন সেন বলেছেন, বিদেশে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন মোদী, তবে নিজের দেশের কাজ করতে ভুলে গিয়েছেন। জিএসটি ও বেকারত্ব নিয়ে মোদীর সমালোচনা করেছেন আসানসোলের এই তুণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। আসানসোল মুনমুনের নতুন কেন্দ্র। আগেরবার তিনি বাঁকুড়া থেকে জয়ী হয়েছিলেন। এবারও তিনি জয়ী হবেন বলে আশা রাখছেন। তবে এই জয়ের জন্য মা সুচিত্রা সেনের কথা বারে বারে বলতে হচ্ছে। তিনি জনসভাতে সোজাসুজি বলছেন, আমার মার আত্মার শান্তির জন্যই আমাকে ভোট দিয়ে জয়ী করুন। তার বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী গায়ক বাবুল সুপ্রিয়কে মুনমুন আমলে নিতে চান নি। তার কথায়, আসানসোলে লড়াইটা হবে মোদী ও মমতার মধ্যে।