ঢাকা: সহিহ হাদিস দ্বারা শবেবরাতের ফজিলত প্রমাণিত। হাদিস শরিফে শবেবরাত শব্দের ব্যবহার নেই। হাদিসের ভাষায় তা মধ্য শাবানের রজনী। হাদিসে মধ্য শাবানের রজনীতে বিভিন্ন নফল ইবাদতের কথা বলা হয়েছে। মুসলিমরা রাতে নামাজ আদায় করবেন এবং দিনে নফল রোজা রাখবেন। এটাই হাদিসের নির্দেশনা।
শবেবরাতে আমাদের দেশের মানুষ মসজিদে সমবেত হয়ে ইবাদত করে। কিন্তু শবেবরাতের ইবাদত ব্যক্তিগত, সম্মিলিত নয়। তারাবির নামাজ ছাড়া অন্য কোনো নফল নামাজের জন্য মানুষকে ডাকাডাকি করে মসজিদে উপস্থিত করা শরিয়তে অনুমোদিত নয়। হ্যাঁ, যদি কেউ নিজ ইচ্ছায় মসজিদে আসে এবং ইবাদত করে তাকে বাধা দেওয়া যাবে না। ব্যক্তিগত ইচ্ছায় একত্র হতে হতে যদি জমায়েত সৃষ্টি হয়, তাতেও সমস্যা নেই। আবার অনেকের বাড়িতে যদি ইবাদতের উপযুক্ত পরিবেশ না থাকে, তাহলে মসজিদে এসে ইবাদত করতে পারে। তবে ব্যক্তিগত নফল ইবাদত মসজিদে এসে করার চেয়ে বাড়িতে করাই ভালো। কেননা হাদিস শরিফে এসেছে, ‘তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে কবরে পরিণত কোরো না।’ অর্থাৎ ঘরেও ইবাদত-বন্দেগি করবে।
লেখক : মহাপরিচালক, আল জামিয়া আল ইসলামিয়া, পটিয়া, চট্টগ্রাম