ঢাকা: শ্রীলঙ্কায় রোববার সকালে ঘটে যাওয়া আট হামলার মধ্যে দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলা ছিল। তবে বাকি হামলাগুলোর ধরন এখনো জানা যায়নি। বার্তা সংস্থা এএফপি ওই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী দুজনের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে শ্রীলঙ্কার পুলিশ।
শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর এক পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপির খবরে বলা হয়েছে, অষ্টম হামলাটি রাজধানীর উত্তরাঞ্চলে একটি বাড়িতে হয়েছে। আর ওই হামলার ধরন ছিল আত্মঘাতী। নাম গোপন রাখার শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, অনুসন্ধানের জন্য ওই বাড়িতে প্রবেশ করেছিল পুলিশ। তারা যখন বাড়িটির ওপর তলায় যায়, সে সময় একজন বোমা নিয়ে ওই তলায় চলে আসে ও বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ঘটনা স্থলেই তিন পুলিশ সদস্য নিহত হন।
অন্যদিকে, হামলা চালানো তিন হোটেলের মধ্যে সিনামন গ্র্যান্ড হোটেল একটি। ওই হোটেলের একজন কর্মকর্তা বলেন, বোমাসহ এক লোক তাঁদের হোটেলের রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করে ও বিস্ফোরণ ঘটায়।
তবে অন্য হামলার ধরন সম্পর্কে এখন পর্যন্ত জানা কিছু জানা যায়নি। এ ছাড়া, কোনো পক্ষ এখনো এ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।
রোববার সকালে শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডে উদ্যাপনের সময় তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলে একের পর এক বোমা হামলা হয়েছে। এরপর আরও দুটি স্থানে বোমা হামলা হয়েছে। এসব হামলায় ২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্য ৩৫ জন বিদেশি। আহত মানুষের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। এই হামলাকে গৃহযুদ্ধের পর শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে সব থেকে বড় হামলা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুহান বিজয়াবর্ধনে বলেন, বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শ্রীলঙ্কায় রোববার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত এ কারফিউ জারি থাকবে।