রাজশাহীর বাগমারায় ১০ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এঘটনায় শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার রাতের এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আল আমিন (২২) নামের এক যুবকে আটক করেছে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার শিশুটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও মেয়েটির বাবার দেওয়া তথ্যমতে, সোমবার সন্ধ্যার পর তাহেরপুর পৌরসভার আজিজুল হকের ছেলে আল আমিন শিশুটিকে ফুসলিয়ে এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটি বাড়িতে এসে পরিবারের সদস্যদের ধর্ষণের কথা জানায়।
পরে পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে স্থানীয় একজন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে স্থানান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে মেয়েটির বাবা জানান, তার মেয়ের অবস্থা ভালো নয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে তিনি মামলা করেছেন।
বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলে উন্নত চিকিৎসা এবং নিরাপত্তার জন্য ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের তথ্যমতে, আল আমিন স্থানীয়ভাবে বখাটে হিসেবে পরিচিত। সে প্রায়ই স্কুল-কলেজের মেয়েদের যৌন হয়রানি করে।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনা জানার পরই বখাটে আল আমিনকে ধরতে অভিযান চালায়। পরে সোমবার রাত ১১টার দিকে তাহেরপুর এলাকা থেকে ছদ্মবেশে পুলিশ তাকে আটক করে। এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। আল আমিনকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।