গোপালপুরে সিনেমার নায়িকা বানানোর কথা বলে অপহৃত এক কলেজ ছাত্রীকে প্রায় তিন মাস আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। অপহরণকারী ধর্ষক ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার মাইটকুমরা গ্রামের কাইয়ুম শিকদারের ছেলে এসএম আকাশ ওরফে ফারুক শিকদার (২৮)।
রবিবার বিকেলে গোপালপুরের ভোলারপাড়ার জনগণ অপহৃত ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে অভিযুক্ত ধর্ষককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়। সোমবার সকালে মেয়ের বাবার দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলায় পুলিশ আসামিকে টাঙ্গাইল কোর্টে চালান করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জানুয়ারি সকালে গোপালপুর সরকারি কলেজে স্থানীয় সাংসদের সংবর্ধনা ও নবীন বরণ অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই ছাত্রীকে রাস্তা থেকে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে নিয়ে যায়। সেখানে একটি বাসায় আটকে রেখে সিনেমার নায়িকা বানানোর কথা বলে প্রায় তিনমাস তাকে ধর্ষণ করে।
এদিকে অপহৃত ধর্ষিতার বোন কৌশলে মোবাইলে যোগাযোগ করে রবিবার দুপুরে তাদেরকে গোপালপুরের ভোলারপাড়া গ্রামে নিয়ে আসে।
এ সুযোগে স্থানীয়রা ধর্ষককে গণধোলাই দিয়ে দু’জনকেই পুলিশে দেয়।
গোপালপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন আইন মামলায় আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।