ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন জেলার সরকারি জিয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ তাহমিনা বেগম। একই সঙ্গে নুসরাত হত্যার বিচারের দাবিতে ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করতে চাইলেও অনুমতি দেননি তিনি। এছাড়াও আলোচিত এ ঘটনার জন্য নুসরাতকেই দায়ী করেছেন তিনি।
শনিবার ওই কলেজের তাহমিনা রুমি ও স্নিগ্ধা জাহান রিতা নামের দুই ছাত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানায়।
স্ট্যাটাসে লিখেছেন, নুসরাত হত্যার বিচার দাবিতে ফেনী সরকারি জিয়া মহিলা কলেজের ব্যানারে আমরা একটা মানববন্ধন করতে কলেজের অধ্যক্ষ তাহমিনা বেগমের কাছে শনিবার সকাল ৯টায় অনুমতির জন্য গিয়েছিলাম। আমরা কয়েকজন ম্যাডামের রুমে যাই। তারপর ম্যাডাম যা বললেন তা শোনার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না আমরা কেউই।
‘ম্যাডাম আমাদের বললেন নুসরাতকে তার স্যার বলেছিল পরীক্ষার আগে প্রশ্ন দেবে, তাই নুসরাত নিজ ইচ্ছায় স্যারের কাছে গিয়েছিল। অথচ এতদিন ধরে আমরা জেনে আসছি কলেজের পিয়নকে দিয়ে নুসরাতকে ডাকা হয়েছে। তবে কি আমরা এতদিন ভুল জানতাম? আমাদের কাছে ভুল তথ্য দিয়েছে মিডিয়া? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে ইচ্ছা হয় আমার। কে দেবে এসব প্রশ্নের উওর? কোথায় পাব এসবের উওর? আমাদের ম্যাডাম আরও বলেছেন, অতীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে ঘটতেছে, কারণ বর্তমান মেয়েরা অনেক লোভী। নুসরাত মেয়েটা ধোয়া তুলসী পাতা না। মেয়েটার সঙ্গে যেটা হয়েছে তার জন্য মেয়েটাই দায়ী। এটার জন্য মানববন্ধন করতে আমি কখনও অনুমতি দেব না। তোমরা ক্লাসে যাও। ’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ তাহমিনা বেগম গণমাধ্যমকে জানান, মেয়েদের এসব অভিযোগ সত্য নয়। কেন তারা এমন মিথ্যা কথা বলছে, আমি বুঝতে পারছি না। কলেজের অন্যান্য শিক্ষকদের উপস্থিতে আমি শুধু বলেছি, এ বিষয়টি যেহেতু আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেখছেন- আমরা আরও কিছুদিন অপেক্ষা করি। এখনই মানববন্ধন করার প্রয়োজন নেই।
বিষয়টি নিয়ে ফেসবুক ও স্থানীয়দের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।