টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে তিন দফায় গণধর্ষণ করেছে বখাটেরা। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, কোদালিয়া এলাকার আলম মিয়ার ছেলে ইউসুফ রানা (২৫), আব্দুল রশীদের ছেলে মোঃ রবিন (২৫), মোঃ রবিকুল ইসলামের ছেলে তানজীরুল ইসলাম তাছিন (২২), ৮ তলা মোড় এলাকার মৃত মজনু মিয়ার ছেলে মোঃ মফিজ (২১), একই আল বিরুনীর ছেলে ইব্রাহিম (২০) ও দেওলা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২১)।
এ ঘটনায় জড়িত দেওলা এলাকার হাসান সিকদার (২২) ও প্রাইভেটকার চালক উজ্জল (২৫) পলাতক রয়েছে। গ্রেফতাকৃতদের মধ্যে তিন আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমুল জবানবন্দি প্রদান করেছে।
টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী ফজলু বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
রাতেই দেওলা পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ধর্ষিতা গৃহবধূকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতলে ভর্তি করে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। বাকী দুইজন আসামীকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন জানান, নির্যাতিতার ২২ ধারায় জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সুমন কুমার সরকারের কাছে প্রদান করেন। এছাড়া মামলার মুল তিন আসামী মো. ইউসুফ রানা, রবিন ও জাহিদুল ইসলাম ১৬৪ ধারায় ধর্ষনের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ড ডা. জাকিয়া সুলতানা জানিয়েছেন প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বিপিএম বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিং-এ জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। জড়িত অন্য দুই আসামি হাসান সিকদার ও উজ্জলকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।