শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের কৃষক আফির উদ্দিন মোল্লার পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ হলেও এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগের সত্যতা পায়নি সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের তদন্ত কর্মকর্তা বৃন্দ।
কয়েকটি তদন্ত কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, কৃষক আফির উদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে সংশ্লীষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে সরকারি সড়কের জমি দখল করে ভবন নির্মাণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মো.নূরে আলম ছিদ্দিকী। প্রত্যেক দপ্তর অভিযোগ গুলো তদন্ত করে। তবে কেউ অভিযোগের সত্যতা পায়নি। এছাড়াও গাজীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা (৮৭/১৯) দায়ের করেন। পরবর্তীতে এ মামলাটিও আদালত খারিজ করে দেয়।
প্রথম অভিযোগের তদন্তকারী স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.করম আলী সত্যতা না পাওয়ার বিষয় ইউপি চেয়ারম্যানকে লিখিত ভাবে জানায়। পরে একে একে উপজেলা (এলজিইডি) উপ-প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন ও মাওনা ভূমি অফিসের সহকারি কর্মকর্তা মো.আব্দুল ওহাব সরকারি সড়কের জমি দখলের কোন সত্যতা না পেয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
শ্রীপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, অভিযোগ পেয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। পরর্বতীতে আমার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগের কোন সত্যতা না পাওয়ার বিষয়ে লিখিত ভাবে জানায়। এজন্য অভিযোগটি আমলে না নিয়ে খারিজ করে দেয়া হয়েছে।
কৃষক মো.আফির উদ্দিন মোল্লা বলেন, নিজেরাই সরকারি সড়কের জমি দখল করে একের পর এক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে নূরে আলম। কখনো থানায় আবার কখনো ইউএনও’র কাছে। আমি সামাজিক ভাবে ও অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। নূরে আলমের শ্রীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছি। নুরে আলম ছিদ্দিকীর হাত থেকে রেহাই পেতে তিনি প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরও সু-দৃষ্টি কামনা করেন।
শ্রীপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার রেহেনা আকতার বলেন, কোন ব্যক্তি যদি অন্য কোন মানুষের ধারা মিথ্যা অভিযোগে হয়রানি হয়। আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।