হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ নিজের লেখাপড়া ও পরিবারের কষ্টের কথা জানিয়ে চেয়ারম্যানকে চিঠি লেখা লালমনিরহাটের আফোরাজা আক্তার ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়।
আফরোজা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মদাতী ইউনিয়নস্থ মৌজা শাখাতী এলাকার হতদরিদ্র ভ্যানচালক ওমর আলীর মেয়ে এবং স্থানীয় চামটাহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পিয়াস জামান নামের একটি আইডিতে “দাদু আমি লেখা পড়া শিখতে চাই”শিরোনামের একটি স্ট্যাটাস দৃষ্টি কাড়লে ৭ এপ্রিল আফরোজার অনুসন্ধানে মদাতী ইউনিয়ন পরিষদে ছুটে যান এ প্রতিবেদক।
পরে সেখান থেকে একজন গ্রামপুলিশ সদস্য ও ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম মোহনকে সাথে নিয়ে আফরোজাদের বাড়ীতে গিয়ে জানা যায় পরিবারটির চরম দুঃখ কষ্টের কথা।
পরের জমিতে সরকার ও আত্বীয়ের যোগানে তৈরী অর্ধনগ্ন একটি ঘরের একটিমাত্র চৌকিতে আফরোজা পরিবারের ৫ সদস্যের বাস।
মৌলিক ও মানবাধিকারে হিমশিম খাওয়া পরিবারের বড়মেয়ে আফরোজা নিজের লেখাপড়া,নানা দুঃখ- দূর্দশার কথা বর্ননা করে বাসস্থান উন্নয়ন ও ভিজিডির প্রত্যাশা সম্বলিত নিজ হাতে লেখা আকুতিময় চিঠি নিয়ে মার সাথে যায় চেয়ারম্যানের বাড়ী।চিঠি পেয়ে আফরোজাদের বাড়ীতে এসে সার্বিক অবস্থার খোঁজ নেন চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের।
আফরোজার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়ে সঙ্গীয় মোহন মেম্বারের মোটরসাইকেলে তাকে পাঠান স্কুলে। উপবৃত্তিসহ প্রাতিষ্ঠানিক অন্যান্য সুবিধা প্রদানে এগিয়ে আসতে প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা লেবুর দৃষ্টি আকর্ষণ করে কথা বলেন তিনি।
মদাতী ইউপি কার্যালয়ে ফিরে চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কালামের সাথে কথা হলে আফরোজার পড়াশোনা সহ পরিবারের দিকে বিশেষ নজর দানের কথা জানান তারা।
আফরোজার পড়াশোনার জন্য আলোর ব্যবস্থা বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চলতি বরাদ্দে আফরোজার পরিবারে সোলার প্যানেল স্থাপনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে ইউনিয়ন পরিষদের ১০ টাকার চাল বা প্রয়োজনীয় সুবিধাদানের কথা জানান জনপ্রতিনিধিরা।
পড়াশোনা চালিয়ে যেতে অদম্যমেধাবী আফরোজা পড়ালেখা শিখে কি হতে চায় জানতে চাইলে তাঁর স্বপ্নভরা উত্তর ইঞ্জিনিয়ার!