রাঙামাটির লংগদুতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ ৫ জনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। আটকৃতরা হলেন- পূর্ণদেব চাকমা (৩০), মঙ্গল কান্তি চাকমা (৩৫) ও নরেশ চাকমা (১৯), নেশন (২০) ও সুমতি চাকমা ওরফে সরল চাকমা (৪০)।
রবিবার মধ্যরাত ও সকালে লংগদু উপজেলার রাজনগর কাট্টলী এলাকা থেকে তাদের পৃথক অভিযানে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা নিজেদের ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট সংক্ষেপে ইউপিডিএফের কর্মী বলে দাবি করেছে। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে নারাজ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটির লংগদু উপজেলার রাজনগর কাট্টলী এলাকায় গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে অভিযাপনে নামে লংগদু সেনা জোনের বিশেষদল।
এসময় ওই এলাকায় অবস্তানরত সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সেনা উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের উপর গুলিবর্ষণ করে। সেনাবাহিনীও তাদের উপর পাল্টা গুলি চালায়। বেশ কিছু সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সাথে সেনাবাহিনীর গুলি বিনিময় হয়। পরে সেনাবাহিনীর গুলি মুখে কাপ্তাই হ্রদে ঝাঁপিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সেনাবাহিনী তাদের চারপাশ ঘেড়াও করে ঘটনাস্থল থেকে পূর্ণদেব চাকমা, মঙ্গল কান্তি চাকমা ও নরেশ চাকমাকে আটক করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি এসএমসি ও ৫টি বন্দুক উদ্ধার করে। পরে সকাল ৮টার দিকে একই এলাকায় ফের তল্লাশি চালিয়ে নেশন (২০) ও সুমতি চাকমা ওরফে সরল চাকমাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের লংগদু থানায় হস্তান্তর করা হবে।
রাঙামাটির লংগদু সেনা জোনের সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ বাঘাইছড়িতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের উপর সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আটকৃতরা জড়িত আছে কিনা সে বিষয়টি জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এছাড়া খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের নেতৃত্বে এসব এলাকায় বিভিন্ন আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলের দৌরাত্ম্য রোধ এবং জনমনে শান্তি ও স্বাভাবিক জীবন যাপন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেনা, পুলিশ, বিজিবি’র সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
রাঙামাটি লংগদু থানার কর্মকর্তা ওসি রঞ্জন কুমার সামান্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমরা শুনেছি সেনা অভিযানে লংগদু উপজেলার রাজনগর কাট্টলী এলাকা থেকে অস্ত্রসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনো তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়নি। থানায় হস্তান্তরের পর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নেওয়া হবে।