ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি নুরুল হক নুরকে না জানিয়ে ডাকসুর স্টাফ নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করার অভিযোগ উঠেছে জিএস গোলাম রাব্বানী ও এজিএস সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে নিয়োগটি নিয়ে তারা ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ বরাবর আবেদনও করেছেন। যদিও সেখানে স্বাক্ষর নেই নির্বাচিত ভিপি নুরের।
এর আগে, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের জুনিয়র সকল কোর্সের আবেদন ফি কমানোর দাবিতে করা আবেদনেও ভিপি নুরকে জানাননি ডাকসুর জিএস ও এজিএস।
এ সব বিষয়ে গণমাধ্যমকে প্রশ্ন রেখে ভিপি নুর বলেন, তার স্বাক্ষর ছাড়াই এ ধরণের চিঠি প্রশাসন বরাবর দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত? আর এই বৈধতাই বা কি? এর আগেও তারা ভিপির স্বাক্ষর ছাড়াই এ ধরণের চিঠি, ইন্টারনেটসহ আনুষঙ্গিক বিষয় চেয়ে প্রশাসন বরাবর একাধিক চিঠি দিয়েছে। কিন্তু আমি নির্বাচিত ভিপি হলেও এ বিষয়ে কিছু জানি না।
এর আগে, ভিপি নুর ফেসবুকে লিখেন, ডাকসুতে বিভিন্ন পদে ৪ জন লোক কর্মরত আছেন।
আমার জিএস, এজিএস সাহেব আরও ৯ জনের চাহিদাপত্র দিয়েছে। অথচ জানলাম না আমি। অবশ্য এইসব বিষয়ে বাম হাত/ডানহাত থাকে তো, চুপেচাপে করাই ভালো! কারণ অনিয়ম হলে বাধাঁটা এই ভিপিই দিবে। সুতরাং হামলা-টামলা, নাটক-ফাটক, ফন্দি-ফিকির করে ভিপিকে সরানো জরুরি হয়ে পড়বে!
অবশ্য ভিপি নুরকে না জানিয়ে চিঠি চালাচালির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, এই বিষয়ে ভিপি অবগত আছেন। এর আগে ডাকসুর কর্মকর্তা স্বাক্ষর করার জন্য চিঠি দিয়েছিল। সেই চিঠিতে আমরা স্বাক্ষর করেছি এবং আরেকটি পৃষ্ঠায় ডাকসু ভিপির স্বাক্ষর রয়েছে। কিন্তু তিনি পুরো বিষয়টি না দিয়ে শুধু একটি অংশ সংযোজন করেছেন।