নিয়োগ বাণিজ্য ও ক্লাস ফাঁকির অভিযোগে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় পাঁচ শিক্ষককে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে অনুষ্ঠিত ২৪৪তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
শাস্তি পাওয়া পাঁচ শিক্ষকের মধ্যে ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. শাহাদত হোসেন আজাদ ও বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বাকী বিল্লাহ বিকুলের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ ছিল। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শাহাদত হোসেন আজাদকে অধ্যাপক পদ থেকে সহযোগী অধ্যাপকে এবং বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বাকী বিল্লাহ বিকুলকে সহযোগী পদ থেকে সহকারী অধ্যাপকে পদে অবনতি করা হয়।
অপর তিনজনের মধ্যে আইন বিভাগের প্রফেসর ড. গাজী ওমর ফারুক, ইনফরমেশন ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. তারিকুজ্জামানের বিরুদ্ধে ক্লাস ফাঁকি এবং অবৈধভাবে বিদেশে অবস্থানের জন্য বাধ্যতামূলক অবসরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে অভিযোগকারী ছাত্রীকে কোনোরকম হস্তক্ষেপ না করতে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়াও তেল চুরির অভিযোগে মনসুর আলী নামের এক ড্রাইভারকে বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।