গাজীপুরের টঙ্গী বাজার ভরান মুন্সিপাড়া এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী নাহিদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১ এর সদস্যরা।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আলাউদ্দিন রাফি (২৬), আহাদুল ইসরাম রনি (২০) ও সাদ্দাম হোসেন (১৯)। আজ শুক্রবার দুপুরে গাজীপুরের পোড়াবাড়ি ক্যাম্পে র্যাব-১এর এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, গত ১লা মার্চ বিকারে আরিচপুর এ্যাড. শাহজাহান আলীর বাড়ি সংলগ্ন গলিতে ক্রিকেট খেলা চলাকালে ১টি বল পলাতক আসামি আকাশের পায়ে লাগে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আকাশের সাথে রিফাত ও ইমনের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায় আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান আলীর ভাতিজা ছাত্রদল কর্মী রিফাত আকাশকে স্ট্যাম্প দিয়ে পেটায়। পরে আকাশ রিফাতসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এঘটনার পর আকাশ বিষয়টি রাফি ও অন্যান্যদের জানালে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ইমনের বাড়ির গেট ভাংচুর করে। পরে রিফাত ও ইমন বিষয়টি নাহিদ, ও অন্যান্য বন্ধুদের জানালে পরে তারা সংঘবব্ধ হয়ে আকাশের বাড়িতে পাল্টা হামলা চালায়।
এখবর পেয়ে আকাশ, রাফি, রনি, সাদ্দাম, আজাহার, আরমান, আশিক, ফয়সাল এগিয়ে আসে এবং উভয়ের মাঝে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায় ঘাতক সাদ্দাম নাহিদের বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত প্রিন্স মাহমুদ নাহিদকে উদ্ধার করে ঢাকা কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, এ ঘটনায় যারা জড়িত ছিল না তাদেরকেও আসামি করা হয়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক সংঘাতের জের ধরে কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতা অনেক ব্যক্তিকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। নিরাপরাধ ব্যক্তি যেন পুলিশি হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে প্রশাসনের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেযার আহ্বান জানানো হয়েছে।
র্যাব-১এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, নিহত নাহিদের সাথে রাফির নারী ঘটিত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে রাফির নির্দেশে সাদ্দাম নাহিদকে ছুরিকাঘাত করে। তবে নিরাপরাধ কোন ব্যক্তি অহেতুক হয়রানির শিকার হবেন না বলে জানান তিনি।