সুনামগঞ্জে দুই রোহিঙ্গা নাগরিকসহ দালাল চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকালে ওই দুই রোহিঙ্গা নাগরিককে নিয়ে সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করাতে নিয়ে আসেন দালালচক্রের সদস্যরা। পাসপোর্ট করতে আসা ওই দুই রোহিঙ্গা নাগরিকের কথাবার্তায় সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে তাদেরকে আটক করে পুলিশে খবর দেয় কর্তৃপক্ষ।
সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশে পাসপোর্ট অফিসে গেলে রিয়াজুল জান্নাত (১৮) ও মাওলানা আব্দুল হামিদকে(২৪) নামের দইি রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দালালচক্রের চার সদস্যকে আটক করে পুলিশ।
আটককৃত ওই চার দালাল হলেন জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজার ইউনিয়নের সুজাতপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে জসিম উদ্দিন(২৪), ভীমখালি ইউনিয়নের তেরানগর গ্রামের মৃত রমজান আলীর পুত্র ফরহাদ আহমেদ (৩৬), সাচনাবাজার ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের মোহাম্মদ আতাউর রহমানের পুত্র নূর হোসেন (২৩) ও সাচনাবাজারের সুজাতপুর গ্রামের আনোয়ার আলীর পুত্র আমির উদ্দিন (২২)।
পুলিশ জানায়, দালালচক্রের সহায়তায় টেকনাফের উখিয়া থেকে দুই রোহিঙ্গা নাগরিক সুনামগঞ্জ আসে এবং ভুয়া তথ্য দিয়ে সুনামগঞ্জ পৌরসভা থেকে নাগরিক সনদ সংগ্রহ করে।
পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্টে অফিসে পাসপোর্ট করার জন্য গেলে সেখানে কর্মকর্তারা তাদের আটকে পুলিশে সোপর্দ করেন। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে দালালচক্রের চার সদস্যকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানায়, পাসপোর্ট করানোর জন্য চার দালালের তিনকে ১০ হাজার টাকা দেন দুই ওই রোহিঙ্গা নাগরিক।
পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. মিজানুর রহমান জানান, আমরা সুনামগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের দালালচক্রকে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছি। তার প্রেক্ষিতে দুই রোহিঙ্গা নাগরিকসহ দালালচক্রের চার সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। দালালচক্রের অন্যান্য সদস্যকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আটককৃত রোহিঙ্গা নাগরিকদের ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হবে।