ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরসহ তার সঙ্গীদের অবরুদ্ধ করে রাখা ও ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় নিয়ে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন হলের প্রাধ্যক্ষ (প্রোভোস্ট) মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার।
বুধবার গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি অবস্থান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, হলের ভেতর নুর, আখতারেরা অবরুদ্ধ ছিলেন বলে আমার মনে হয়নি। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম যে তারা অবরুদ্ধ রয়েছেন কী-না, তবে তারা কোনো উত্তর দেননি।
তিনি বলেন, তারপর আমি তাদের বাইরে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেছি। তখন খালি ওরা না, ধাক্কাটা আমিও খেয়েছি। খালি ওদের ওপর ডিম মারেনি।
ডিম তো আমিও খেয়েছি।
প্রাধ্যক্ষ জানান, অন্ধকারের ভেতর কারা ডিম মেরেছে তা তো আমি বলতে পারবো না। আমার যেটি করণীয় ছিল, আমি একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। এখন পুরো বিষয়টি কমিটি দেখবে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী যা করার আমি তা করবো।
এর আগে সোমবার এসএম হলে ফরিদ হাসান নামের এক শিক্ষার্থীকে মারপিঠ করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। তার কপালের ডান পাশ ও ডান কানে মোট ৩২টি সেলাই পড়েছে।
এ ঘটনার বিচার চাইতে গিয়ে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর, সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, শামসুন নাহার হল সংসদের ভিপি শেখ তাসনিম আফরোজ ইমিসহ অন্যান্যরা অবরুদ্ধ ও লাঞ্ছিত হন বলে অভিযোগ করা হয়।
নুর বলেন, শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন, প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে আন্দোলন এবং সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনের সময় প্রত্যেকটি হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী জড়িত ছিল। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এই বার্তাটি দিতে চেয়েছিলাম যে, এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় এরা বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর বিভিন্ন সময়ে হামলা চালাচ্ছে।