মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন ও বকেয়া মজুরী প্রদানসহ নয়দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে সিরাজগঞ্জ জাতীয় জুটমিলের শ্রমিকরা। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে কর্মবিরতি রেখে দুপুর একটা পর্যন্ত মিলের অভ্যন্তরে শ্রমিকরা বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে। ৭২ ঘন্টা এ শ্রমিক ধর্মঘট চলবে বলছেন শ্রমিকরা। ফলে জুটমিলের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।
শ্রমিক নেতা আব্দুল খালেক ও স্বপন আহমেদ জানান, মজুরী কমিশনসহ নয় দফা দাবীতে শ্রমিকলীগ ৭২ ঘন্টা ধর্মঘট ডেকেছে। এ কারণে মিলের উৎপাদনসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সকালে শ্রমিকরা মিলে প্রবেশ করে কাজে যোগদান না করে মিলের অভ্যন্তরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
দুপুর একটা পর্যন্ত চলে সমাবেশ।
শ্রমিক নেতারা জানান, মুজুরি কমিশন বাস্তবায়ন না হওয়ায় তারা নানা সমস্যায় দিনযাপন করছেন। প্রতি সপ্তাহে শ্রমিকদের বিল দেওয়ার কথা থাকলেও সময়মত বিল দেওয়া হচ্ছে না। চার সপ্তাহ যাবত শ্রমিকরা বেতন পাচ্ছে না। এমন অবস্থায় পরিবার নিয়ে দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে। এছাড়াও শ্রমিক দুর্ঘটনায় পড়লে পাচ্ছে না কোন চিকিৎসা সহায়তা। সময়মত মিলে পাট না কেনায় ঠিকমতো উৎপাদন করতে পারছে না তারা। পাটের অভাবে তিন শিফটের স্থলে দুই শিফটে উৎপাদন হচ্ছে। এমনকি সপ্তাহে ৬দিন কাজ করা কথা থাকলেও পাট না থাকায় শ্রমিকরা দুই থেকে তিনদিন কাজ করছে।
সমাবেশ চলাকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা.হাবিবে মিল্লাত মুন্না জুটমিলে গিয়ে শ্রমিকদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং তাদের দাবি দাওয়ার-বিষয়টি সরকারের কাছে গুরুত্বসহকারে তুলে ধরে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন।
নারী শ্রমিক রুমা খাতুন জানান, প্রতিদিন কাজ করলে মাত্র ২৮০ টাকা মজুরী। তার মধ্যে সপ্তাহে তিনদিন কাজ হয় না। আবার চার সপ্তাহ বিল দেয় না। এতে পরিবার নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছি।
জাতীয় জুটমিলের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আমিনুল ইসলাম জানান, শ্রমিকদের নয় দফা দাবি ন্যায্য। তাদের দাবি বাস্তবায়ন করা সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। তবে বকেয়া পরিশোধের বিষয়টি আমরা দুই-একদিনের মধ্যেই সমাধানের চেষ্টা করব।