আজ ২ এপ্রিল। বিশ্ব অটিজম দিবস। সারা পৃথিবীতে বেড়েই চলেছে অটিজম। কিন্তু অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার (এএসডি) নিয়ে জনমানসে এখনও সচেতনতা তেমন নেই বললেই চলে।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শিশুর সামাজিক আচরণ যেভাবে বদলানো উচিত, স্নায়বিক কারণে এ অসুখে তা হয় না। অথচ সচেতনতার অভাবে এই নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার চিনতেই পারেন না অভিভাবকরা। তাই এ রোগ সম্পর্কে আরও বেশি করে প্রচার দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সেই সঙ্গে জরুরি, একেবারে শৈশবেই এ রোগকে চিহ্নিত করা।
অটিজম কী?
একটি জটিল নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার
এ রোগ কি বিরল?
একেবারেই নয়। অনেক শিশুই অটিজম নিয়ে জন্মায়। তবে বিশ্বব্যাপী মেয়েদের চেয়ে এই রোগে বেশি শিকার ছেলে শিশুরা।
কী হয় এতে?
কথাবার্তা বলা, সামাজিক মেলামেশা ও স্বাভাবিক মানসিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে (বুদ্ধি ব্যাহত হয় না) তৈরি হয় অন্তরায়। অথচ বৌদ্ধিক ও অন্যান্য গুণাগুণের বিচারে কোনও ফারাক থাকে না আর পাঁচ জনের সঙ্গে
উপসর্গ
অতি-ঘনিষ্ঠ ছাড়া মেলামেশা নয়
বয়সের নিরিখে অনেক দেরিতে কথা বলতে শেখা
চোখে চোখ রেখে কথা বলতে না-পারা
একই কথা বা কাজ বার বার আওড়ে চলা বা করা
কারও শরীরী ভাষা, ইশারা, ইঙ্গিত, মুখের ভঙ্গির মানে না-বোঝা
একঘেয়ে রুটিনে আসক্তি। রগচটা ব্যবহার। রোজনামচা বা পরিবেশের সামান্য পরিবর্তনেই রাগ
বহির্জগৎ সম্পর্কে উদাসীনতা, যন্ত্রণা ও উত্তাপকে গ্রাহ্য না-করা, নির্দিষ্ট শব্দ ও গন্ধ সম্পর্কে অতিসংবেদনশীলতাও এই রোগের উপসর্গ।
অটিজম থেকে কি মুক্তি নেই?
অবশ্যই আছে। অ্যালবার্ট আইনস্টাইন, মোৎজার্ট, বিল গেটসের মতো মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয় যারা অটিজমের বাধা টপকেও সফল। তবে প্রয়োজন চিকিৎসার।